নাগরিক ডেস্ক:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫.৬৭ শতাংশ। দ্বিতীয়বারের মতো ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১৩ আগস্ট শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘খ’ ইউনিট সমাজবিজ্ঞান, কলা ও মানবিক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪২৪ জন হলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪৮ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা পরীক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এসময় বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট লাঘবের জন্য একটি গুচ্ছে দ্বিতীয়বারের মতো ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিচ্ছি আমরা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছি।’
এদিকে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ইমতিয়াজ নামে একজন পরীক্ষার্থী বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হওয়ায় আমাদের অর্থ ও সময় কম লাগছে। একটি কেন্দ্রে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে পারায় দুর্ভোগও কমেছে।’ নওরিন নামে আরেক ভর্তি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্নভাবে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারতাম না। গুচ্ছের মাধ্যমে হওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে।’
ববিতে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সবার সহযোগিতায় সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পেরেছি। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একসঙ্গে হওয়ায় এবং পছন্দের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারায় ভর্তীচ্ছুদের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হয়েছে। ভর্তীচ্ছু ও অভিভাবকদের মধ্যে তাই বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।’