নাগরিক রিপোর্ট : বরিশালে নির্যাতনে শিক্ষানবীশ আইনজীবী রেজাউল করিমের মৃত্যু মামলায় পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস.আই) মহিউদ্দিনকে অব্যাহতি দেয়া নি¤œ আদালতের আদেশ উচ্চাদালত স্থগিত করেছে। আগামী ৬ মাস স্থগিত রাখার পাশাপাশি ওই আদেশ কেন বাতিল ঘোষনা হবেনা তা জানতে চেয়ে উচ্চাদালত রুল জারি করেছে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর সেলিম ও বিচারপতি বশির উল্লাহর সমম্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত রোববার (১৪ আগষ্ট) এসব আদেশ দেন।
এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত রেজাউল করিমের বাবা ইউনুস মুন্সীর পক্ষে উচ্চাদালতে আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশী নির্যাতনে রেজাউল করীমকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা ইউনুস মুন্সী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারী তৎকালীন বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের হলে অভিযোগ তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের এ আদেশে ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউনুস মুন্সী উচ্চাদালতে আপীল করেন।
বিচারপতি এম এনায়েতুর রহমান ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমম্বয়ের বেঞ্চ ২০২১ সালে ৩ মার্চ অভিযোগটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারকে নির্দেশ দেন। উচ্চালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে অভিযুক্ত এসআই মহিউদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়। নিহত আইনজীবীর বাবা ইউনুস মুন্সী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আপত্তি জানান। আদালত তার আপত্তি গ্রহন করেননি।
আইজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ইউনুস মুন্সী নিম্ম আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুলাই মাসে উচ্চাদালতে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানী শেষে গত রোববার নি¤œ আদালতের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত এবং ওই আদেশ কেন বাতিল করা হবেনা, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে উচ্চাদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ খান সড়কে একটি চায়ের দোকান থেকে রেজাউল করীমকে আটক করেন এসআই মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তারা রেজাউল করীমের কাছে মাদক পাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত রেজাউল করীমকে কারাগারে পাঠায়। দুইদিন পর ২০২১ সালের ১ জানুয়ারী রাতে অসুস্থবস্থায় রেজাউলকে কারাগার থেকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তিনি মৃত্যুবরন করেন। রেজাউল করীম বরিশাল জেলা আইনজীবী সদস্য জাকির হোসেন মিন্টুর সঙ্গে শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজ করতেন।##