সৈয়দ জুয়েল : উত্তাপ ছড়াচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশ কমিউনিটি। অথচঃ ক’দিন আগেও হাল ছাড়া নাবিকের মতই ছিলো দু’একটি সংগঠন। গলওয়ে নির্বাচন, আবাইর নির্বাচন, ডাবলিন কমিটি গঠন, সব মিলিয়ে বেশ দ্রুতই হচ্ছে সবকিছু। আভাস রয়েছে আরো কিছু কাউন্টি নির্বাচন ও অন্যান্য সংগঠনেরও। ঝিমিয়ে পরা কমিউনিটি এবার সরব হয়ে কতটুকু আলো ছড়াবে ভবিষ্যতেই বলে দিবে। যত কমিটি তত বিভক্তি,এটি যেমন সত্য,তেমনি যত কমিটি তত তাদের কার্যক্রমের পরিধি বাড়বে,এটিও সত্য।
এদিকে অনেকের মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে স্থানীয় কমিউনিটি শক্তিশালী হলে আবাই দূর্বল হবে কি না! সহজ কথায় আবাই দূর্বল হওয়ার কোনই শংকা থাকবেনা,যদি আবাই তাদের কাজের গতি,পরিধি বাড়িয়ে দেয়। আর যদি তা না হয়,তাহলে শংকা তো থেকেই যাবে। স্থানীয় কমিটিগুলোর সাথে কোন ধরনের দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে এদের সাথে কাজ করলে মূলতঃ আবাই আরো শক্তিশালী হবে। মনে রাখতে হবে আবাই পুরো আয়ারল্যান্ড জুড়ে সংগঠন। দেশ বিদেশে প্রতিটি জায়গায় কমিটি নিয়ে গ্রুপিং,বিবাদ রয়েছে,থাকবে,এ থেকে উত্তরন সম্ভব,তবে খুব সহজ নয়। আর আয়ারল্যান্ড বিশ্বের সেরা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর একটি,এখানে কোন সংগঠনের এখতিয়ার নেই অন্যদের সংগঠন করাকে নিরুৎসাহিত করার। আবার আবাই যদি ধারনা করে থাকে তাদের অধীনেই চলবে স্থানীয় কমিউনিটিগুলো,সেটিও ভুল। কোন বাংলাদেশি যদি আবাই বা অন্য সংগঠন না মেনে থাকেন,সেখানে তাদের নির্বাহী কোন ক্ষমতা নেই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।
এখানে সবকিছুই করতে হবে আলোচনা ও সন্মানের সাথে। কোন শক্তি,হুমকি,অপপ্রচারের কোন বাড়তি সুবিধা এখানে নেই। বরং এতে আরো বিভক্তি বাড়বে বৈ কমবেনা। আয়ারল্যান্ডের যত সংগঠন রয়েছে,বা আগামীতেও হবে,এদের নিজ যোগ্যতায়-ই টিকে থাকতে হবে। না হয় সংগঠন গ্রহনযোগ্যতা হারাবে। আমরা চাই আয়ারল্যান্ডের সব বাংলাদেশি সংগঠনই তাদের সদস্যদের যোগ্যতা দিয়ে তাদের সংগঠনের জন্য নিরলস কাজ করে শক্তিশালী করবে। যে কয়টি সংগঠন এখন পর্যন্ত হয়েছে,তাদের মাঝে অনেকেরই মেধা রয়েছে সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার। দল,মত,ব্যাক্তি শত্রুতার বিভক্তি এড়িয়ে আয়ারল্যান্ডের প্রতিটি কমিউনিটি দেশের পতাকাকে আরো শানিত করবে। এই প্রত্যাশা।