বরিশালে দুইপক্ষের হাতাহাতিতে বিএনপির কমীসভা পন্ড

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : প্রধান অতিথি পৌছার আগেই দুইপক্ষের হাতাহাতিতে বরিশাল নগরে হিজলা উপজেলা বিএনপির কর্মীসভা পন্ড হয়ে গেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সদর রোড কীর্তণখোলা মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

আগামী ৫ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে হিজলা উপজেলা বিএনপির এ কর্মীসভা আহবান করা হয়েছিল। সভার প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু। তারা সভাস্থলে পৌছার আগেই ডেলিগেট বহিভূত নেতাকর্মী সভাকক্ষে প্রবেশ করায় দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির হয় বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন। হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার বলেছেন, সভায় কিছুটা বিশৃঙ্খলা হওয়ায় সভা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সজল জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতা দাবীদার দেওয়ান মনির নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা কেউ সভার ডেলিগেট নন। সজল জানান, দেওয়ান মনির উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষর জাল করে তাদের ডেলিগেট কার্ড প্রদান করে সভায় নিয়ে আসেন। তখন অন্যান্য নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানালে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বাযক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুল সভামঞ্চে ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

আসাদুজ্জামান সজল বলেন, দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে অশালীন আচরন করায় দেওয়ান মনিরকে অনেক বছর আগে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্ত তিনি নিজেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক দাবী করে আসছেন।

স্বাক্ষর জাল করে অনুসারীদের ডেলিগেট কার্ড দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিএনপি নেতা মনির দেওয়ান। বলেন, তিনি একাই সভাকক্ষে ঢুকেন। তার সঙ্গে কেউ ছিলনা। তবে অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী স্বউদ্যেগে সভা কক্ষে প্রবেশ করায় চেয়ারে বসা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তাকে বহিস্কার করার তথ্যও সঠিক নয় বলে দাবী করেন মনির দেওয়ান।

উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নির্ধারিত ডেলিগেটের বাইরে অনেক নেতকর্মী প্রবেশ করায় কর্মীসভায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ কারনে সভা স্থগিত করা হয়েছে। পরে পূনরায় সভার তারিখ জানানো হবে। মো. শহীদুল্লাহ বলেন, অঙ্গ সংগঠনের অনেক জুনিয়র নেতার গলায় ডেলিগেট কার্ড ঝুলতে তিনিও দেখেছেন। তারা কিভাবে কার্ড পেলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *