ট্রুডো-সোফি দম্পতির বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
১৮ বছরের দাম্পত্য জীবন। তিন সন্তানের মা-বাবা তাঁরা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুপরিচিত এই জুটি। হঠাৎই তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণা অনেককে বিস্মিত করেছে। অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগরি দম্পতি।

জাস্টিন পিয়েরে জেমস ট্রুডোর জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী তিনি। সোফি গ্রেগরি বেড়ে উঠেছেন মন্ট্রিয়লে। শৈশব থেকেই তাঁরা একে অন্যের পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন ট্রুডোর এক ভাইয়ের বন্ধুর সহপাঠী। পরে ২০০৩ সালে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে আবার দুজনের দেখা হয়। তখন তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক।

এর বেশ কয়েক মাস পর তাঁরা মেলামেশা শুরু করেন। ২০০৪ সালে এই জুটির বাগ্‌দান হয়। পরের বছর (২০০৫ সাল) ট্রুডো ও সোফি বিয়ে করেন। এ দম্পতির তিন সন্তান। বড় ছেলে জাভিয়ারের জন্ম ২০০৭ সালে। মেয়ে এলা গ্রেসের জন্ম ২০০৯ সালে। আর ছোট ছেলে হ্যাড্রিয়েনের জন্ম হয়েছে ২০১৪ সালে।

২০১৫ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। সুদর্শন এই প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রগতিশীল নীতিমালার জন্য দ্রুতই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ টানতে সমর্থ হন। তিনি নারী অধিকারের পক্ষে কথা বলেন। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

ট্রুডোর সঙ্গে সোফির কেন বিচ্ছেদ হলো, তার কারণ স্পষ্টভাবে এখনো কিছু জানা যায়নি। হয়তো কখনোই জানা যাবে না।

এই যুগলের বিচ্ছেদের খবরটি প্রথম প্রকাশ হয়েছে ইনস্টাগ্রামে। গতকাল বুধবার ট্রুডো ও সোফির নিজ নিজ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ট্রুডো ইনস্টাগ্রামে বলেন, ‘সোফি ও আমি আপনাদের জানাতে চাই, অনেক খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনার পর আমরা আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব সময়ের মতো আমরা ঘনিষ্ঠ পরিবার হিসেবে থাকব। আমাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা থাকবে।

একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে। আমরা যা কিছু গড়ে তুলেছি এবং যা কিছু গড়ব, সবকিছুর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকবে। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের সন্তানদের মঙ্গলের কথা ভেবে আপনারা আমাদের এবং তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।’

ট্রুডোর কার্যালয়ের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দম্পতি বিচ্ছেদ–সংক্রান্ত আইনি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রুডোর কার্যালয়ের মুখপাত্রের বরাতে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বিচ্ছেদের খবর প্রকাশের আগেই সোফি পারিবারিক বাড়ি ছেড়ে অটোয়াতে আরেকটি বাড়িতে উঠেছেন।

ট্রুডোর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা সব ধরনের আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং সামনেও সে অনুযায়ী কাজ করবেন। তাঁরা ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতোই থাকবেন। সোফি ও প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সন্তানদের নিরাপদ, প্রেমময় এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বড় করার ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া ছুটিও তাঁরা একসঙ্গে কাটাবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *