নাগরিক রিপোর্ট:
মুষলধারার বৃষ্টিতে গতকাল সোমবার বরিশালে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সকাল থেকে অবিরাম ভারি বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে ভাসছে নগরের বিভিন্ন এলাকা। টানা দুই দিন ধরে এমন জলাবদ্ধতা সত্বেও সিটি করপোরেশন অনেকটা অসহায় ভুমিকা পালন করছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিকাল ৩টা থেকে আগের ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
সোমবার বিকাল ৩টা থেকে আগের ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয় ১৪১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। তারমধ্যে ৮৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃস্টি হয় রোববার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে। সোমবার একই সময়ে বৃষ্টি হয় ১২৬ মিলিমিটার। অর্থাৎ রোববারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেশী বৃষ্টি হয় সোমবার।
গত দুই দিনের ভারি বর্ষনে বরিশাল নগরে জনজীবনের স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। নগরীর সদর রোড, বগুরা রোড, আমির কুটির রোড, নবগ্রাম রোড, নিউ সার্কুলার রোডসহ অনেক এলাকায় সড়ক উপচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে। নিচু এলাকা আমানতগঞ্জ, ভাটিখানা, পলাশপুর, ধান গবেষনা রোডের অলিগলি হাটু সমান পানির নিচে রয়েছে।
ওই সব এলাকার বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পরিবারগুলো দূর্ভোগে আছেন। সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, পানিতে থৈ থৈ করছে নগরী। কিন্তু সিটি করপোরেশনের দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেই কোথাও।
এব্যপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ফারুক হোসেনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় রোববার সকাল ৬টা থেকে অভ্যন্তরীন রুটে ৬৫ ফুটের কম দৈঘ্যর লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।