ভাঙ্গনে বিলীন মেঘনা তীর রক্ষা বাধ, নির্মান কাজ নিয়ে প্রশ্ন

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়ার বৃহৎ এলাকা ঘিরে মেঘনা নদী তীরের প্রায় ৫০ মিটার বাধ ভেঙ্গে গেছে। পানির তীব্র ঘুর্নায়নের কারনে ভেসে গেছে গাছপালা। এই ভাঙনের ফলে ঝুকির মুখে পড়েছে সেখানকার প্রয়াত কলামিস্ট আব্দুল গফফান চৌধুরীর ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার সহ অনেক স্থাপনা। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। মেঘনার তীর রক্ষায় প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকায় নির্মিত আড়াই কিলোমিটার বাধে এমন ভয়াবহ ধ্বস সৃস্টি হওয়ায় নির্মান কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ৩ বছর আগে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে দক্ষিন উলানিয়া ইউনিয়নের আশার গ্রাম জলিল হাওলাদারের বাড়ি থেকে উত্তর উত্তর উলানিয়ার মল্লিকপুর রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকায় আড়াই কিলোমিটার নদী তীরে বাধ শুরু হয়। ওই কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। গত ১৮ জুন শুক্রবার হঠাৎ ৫ নং উলানিয়া গ্রামের উলানিয়া হাই স্কুল ও জমিদার বাড়ির মাঝ বরাবর এলাকাবাসী দেখতে পান যে গাছপালা কাপছে। সেখানকার নদী তীরে ফাটল ধরেছে। এক পর্যায়ে নারিকেল গাছ সহ বিশাল এলাকা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এর ফলে উলানিয়া করনেশন হাই স্কুল, উলানিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি এবং মসজিদ, জুনিয়র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উলানিয়া বাজার নদী ভাঙনের হুমকীর মুখে পড়েছে। মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

জমিদার বাড়ির সদস্য মাহফুজুল ইসলাম সুমন চৌধুরী বলেন, উলানিয়ার মানুষের আপদ মেঘনার ভাঙন রোধে যে বেরিবাধ দেয়া হয়েছিল তা গত বছরের মধ্যভাগে শেষ হয়। কিন্তু উলানিয়াবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে। মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণে ৩৮৬ কোটি টাকা ব্যায়ে সিসি ব্লক দিয়ে নির্মিত বাঁধের বড় অংশ শুক্রবার ভেঙ্গে গেছে। এতে জমিদার বাড়ি সহ অনেক স্থাপনা ঝুকিতে পড়েছে। তিনি বলেন, এখন বাধের নির্মান কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এ ঘটনায় পাউবো এর সংশ্লিস্টদের ক্ষুব্ধ হয়ে দ্রুত ভাঙন রোধে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।

উলানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মোল্লা বলেন, হঠাৎ নদী ভাঙনে বৃহৎ এলাকা দেবে গেছে। ব্লকও পানির নিচে। পানি উন্নয়ণ বোর্ড কাজ শুরু করেছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশালের নিবাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, উত্তল মেঘনায় প্রাকৃতিক পরিবর্তনের করনে হঠাৎ করে বাধে ভাঙন শুরু হয়েছে।

আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যতক্ষুন না ভাঙন থামবে ততোক্ষুন আমরা কাজ চালিয়ে যাবো। জরুরী ব্যবস্থা হিসেবে আমরা এখানে কাজ শুরু করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *