নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশালের মেঘনা ঘেরা হিজলায় অবৈধ জাল উদ্ধার করে তা বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে লংকা কান্ড ঘটেছে। প্রকাশ্যে সড়ক আটকে মৎস্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর চড়াও হয়েছেন উপজেলার হরিনাথপুর পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ আঃ রহিম। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টায় উপজেলার হরিনাথপুর ইউপির পুর্বকান্দি বোর্ড স্কুল সংলগ্ন সড়কে ঘটে। হিজলা মৎস্য কর্মকর্তা দাবী করেছেন, ফাড়ি ইনচার্জ আঃ রহিম একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার অবৈধ জাল বিক্রি করে দিয়েছেন। এর কৈফিয়ত চাইতে গিয়ে ফাড়ি ইনচার্জ চড়াও হয়েছে। তবে হরিনাথপুর ফাড়ি ইনচার্জ আঃ রহিম এমন অভিযোগ অস্বীকর করেছেন।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিনাথপুরে ইউনুস নামক জনৈক ব্যাক্তির বাড়িতে জাল উদ্ধারে জান। সেখানকার লোকজন তার কাছে দাবী করেন যে ৫-৬দিন আগে রাতে অভিযানে এসে হরিনাথপুর ফাড়ি ইনচার্জ আঃ রহিম ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নিয়ে গেছেন। কিন্তু ওই জাল না পুড়িয়ে তিনি বিক্রি করেছেন। মৎস্য কর্মকর্তা আলম বলেন, তিনি হিজলা থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ কর্মকর্তা রহিমকে ডেকে এনে জিজ্ঞাস করলে অস্বীকার করেন।
আলম বলেন, ওই স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে মাহিন্দ্রায় চলে আসলে ২টি মোটরসাইকেলে ফাড়ি ইনচার্জ রহিম সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে তাদের উপর চড়াও হন। এসময় তারা সিভিল এ ছিলেন। এসেই আঃ রহিম লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন তার একজন মাঠ সহায়ক মোঃ হানিফ, মাঝি ইয়াছিন ব্যাপারী এবং অপর মাঝী সাইদুল ইসলামকে। এনিয়ে সেখানে হৈচৈ পড়ে যায়। তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সাবিক বিষয় অবহিত করেছেন। এ ঘটনায় আইনী ব্যাবস্থাও নিবেন তিনি।
তবে হরিনাথপুর পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ আঃ রহিম বলেন, জনৈকি ইউনুস নামে এক ব্যাক্তির ওই বাড়িতে বিকেলে মস্য কর্মকর্তা আলম তল্লাশি করেন। এরপর তাকে ডেকে পাঠান। তিনি যাওয়ার সাথে সাথে মৎস্য কর্মকর্তা আলম জানতে চান যে কেন জাল বিক্রি করিছি। এসময় মাঝি সাইদুল তার সঙ্গে তর্ক করে। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে আসলে পথিমধ্যে দেখেন যে মাহিন্দ্রায় মৎস্য কর্মকর্তা লোকজন বসে আছেন। সেখানে বসে ফের জাল বিক্রির বিষয় নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তার ফোর্স লাঠি নিয়ে মাঝিদের থামানোর চেস্টা করেছে মাত্র। তিনি দাবী করেন, ‘কাউকে মারধর করা হয়নি্। যা বলছি তা ভিডিও এর সঙ্গে মিল আছে কি না দেখেন।’
এব্যপারে হিজলা থানার ওসি জুবায়ের আহমেদ বলেন, মৎস্য কর্মকর্তার মাঝিদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছে। এর সমাধান করে দেয়া হয়েছে। জাল বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টাকা কি কেবল রাস্তায় ওড়ে?’