আলোচিত পিয়াজের হরেক তথ্য জানুন

Spread the love

পেঁয়াজ নেই, এমন কোন রান্না ঘর হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ কোন রান্না শুরু করার আগে, কড়াইতে তেল দেয়ার পরপরই সাধারণত: যে উপাদানটি ব্যবহার করা হয় সেটি পেঁয়াজ।
শুধু অন্য রান্নার অনুষঙ্গ নয়, কাঁচা খেতেও পেয়াজ বেশ সুস্বাদু। এছাড়া সরাসরি কাঁচা পেঁয়াজ, ভর্তা, আচার এবং সালাদ হিসেবেও পেঁয়াজের কদর কম নয়।
পেঁয়াজের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণও। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চাহিদা রয়েছে পেঁয়াজের।
তবে, বেশ কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে ঝাঁজ বাড়ছে।
রবিবার, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে ঘণ্টার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেয়াজের দাম।
পেঁয়াজ আসলে কী?
পেঁয়াজ আসলে কোন সবজি নয়। এটি আসলে একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ।
এর বৈজ্ঞানিক নাম এলিয়াম সেপা।
এই বর্গের অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে রসুন, শ্যালট, লিক, চাইব এবং চীনা পেঁয়াজ।
রসুনের মতোই এর গোত্র হচ্ছে লিলি।
পেঁয়াজ কোথায় উৎপন্ন হয়?
এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই উৎপাদিত হয়। তবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় ভারত এবং চীনে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সেসব দেশগুলোতেই প্রধানত পেঁয়াজ হয় যেখানে বেশি বৃষ্টি হয় না। পাশাপাশি হাল্কা শীত থাকে। সেজন্যই বাংলাদেশে পেঁয়াজ হয় শীতকালে। সেসময় দামও কম থাকে’।
বাংলাদেশে কী ধরণের পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়?
বাংলাদেশে যে সব এলাকায় শীত বেশি থাকে সেসব এলাকায় পেঁয়াজ বেশি জন্মায়।
মি. জামাল উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ এলিয়াম সেপা বা পেঁয়াজ যা মূলত একটি বাল্ব সেটাই উৎপাদিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের পেঁয়াজ তেমন বড় হয় না”।
আকারে বড় না হলেও বাংলাদেশের পেঁয়াজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ঝাঁজালো বেশি হয়। কারণ এতে এলিসিনের মাত্রাটা বেশি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
এর জন্য আমাদের রান্নাটাও অনেক বেশি মজা হয়।

সুত্র- সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *