সৈয়দ জুয়েল: ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকলো ডাবলিনের ডি,সি,ইউর স্টোকস্ বিল্ডিং। ঢুকতেই নানান রকমের আল্পনায় জানান দিল উৎসবের আমেজ। সৃজনশীল সব বই আর বইপ্রেমী বাঙ্গালীদের আগমনে পুরো স্টোকস্ বিল্ডিং যেন জনসমুদ্র। আয়ারল্যান্ডের এই প্রথম বইমেলাকে ঘিরে ছিল বাঙ্গালীদের ভিতর বাড়তি আগ্রহ। প্রানের এ মেলা উপভোগে প্রায় প্রতিটি কাউন্টির বাঙ্গালীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল এর চারপাশ।
এর মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস সংস্কৃতির উপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা পুরো অনুষ্ঠানের পূর্নতা এনে দেয়। আয়োজক প্রধান সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন- যতটা ভেবেছি, তার চেয়ে খুব বেশী সাড়া পেয়েছি। বই মেলাকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ দেখে আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল,এবং এতে করে সামনের দিনগুলোতে এরকম মেলা করতে আমরা আরো উৎসাহী হব।
আক্তার হোসেন, কাজী কবির, মেহেদী হাসান, শাহাদত হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শাহরিয়ার হোসেন, শান্ত এদের সার্বিক সহযোগীতা না পেলে এ মেলা করা সহজ ছিল না বলেও তিনি জানান। এ ছাড়াও অনেক বাঙ্গালীরা বইমেলা স্বার্থক করতে কাজ করেছেন। একটা স্বার্থক পরিচ্ছন্ন আয়োজনে সদ্বিচ্ছা ও সাংস্কৃতিমনা লোকবল খুবই জরুরী। যার সবকটিরই সরব উপস্থিতি ছিল ঈর্ষনীয়।
আর তাই বই কিনে তৃপ্তির হাসি নিয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন বইপ্রেমী বাঙ্গালীরা, সাথে নিয়ে গেলেন- দেশীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির লাল সবুজের ভালবাসার ধারক, বাহকের সোনালী অতীত। মেলায় আগতরা জানালেন প্রতি বছর এরকম বইমেলা আয়োজনে এখানে বেড়ে ওঠা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধির এক সেতু বন্ধন তৈরীতে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে।
মেলায় বিশিষ্টজনের ভিতর উপস্থিত ছিলেন- শামসুল হক, মো: মোস্তফা, জাহিদ মোমিন চৌধুরী, শাহিন রেজা, মো: ফিরোজ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ডা: মোসাব্বির হোসেন, কাজী কবির, শিবলী চৌধুরী, জামাল বাসীর প্রমুখ। বইমেলার উদ্বোধনে ছিলেন প্রফেসর এম,এস, জে হাসমী(এমেরিটাস)।