নাগরিক রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় আম্পানে তান্ডবে দক্ষিনাঞ্চলে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৪ হেক্টর ফসলী জমির মধ্যে ১৭ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বরিশালের ৬ জেলার এ তথ্য বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে। কৃষি বিভাগ দাবী করেছে, ঝড়ে সবচেয়ে বেশি বোর ধানই ক্ষতি হতে পারে।
বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভাগে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমির মধ্যে আউশের বীজতলা ১ হাজার ৯১ হেক্টর, আবদকৃত আউশ ৩ হাজার ৯৮৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৪ হাজার ৪০৪ হেক্টর, পাট ২৯ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন তীল ৭ হেক্টর, বোরো ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, মুগ ১৩৯ হেক্টর, সয়াবিন ২৭০ হেক্টর, চীনাবাদাম ১ হাজার ১৪৫ হেক্টর, ফেলন ২৪৩ হেক্টর, মরিচ ২ হাজার ২৪৪ হেক্টর, ভূট্টা ২৯৬ হেক্টর, আখ ১০৬ হেক্টর সূর্যমূখি ২০ হেক্টর, কলা ৪২০ হেক্টর, পেপে ১৯৬ হেক্টর, পান বরজ ৫৫৮ হেক্টরসহ অন্যান্য ফসলের ২৮ হেক্টর জমি রয়েছে।
আর প্রতি জেলার হিসেব অনুযায়ী বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ৯৩ হেক্টর, পিরোজপুরে ১ হাজার ৪৩৯ হেক্টর, ঝালকাঠিতে ৪ হাজার ১২৩ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৪ হাজার ৭০৬ হেক্টর, বরগুনায় ৩৩০ হেক্টর ও ভোলায় ৭৬৪ হেক্টর ফসলী জমি আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাবউদ্দিন আহমদ জানান, ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের কারণে ৫ শতাংশ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে তার ধারনা। তিনি বলেন, ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হবে।
২০২০-০৫-২২