লকডাউন হলো পুরো আয়ারল্যান্ড

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল: হঠাৎ করেই মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভরদকার গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামী ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছেন। জনগনকে এ সময়টায় খুব জরুরী প্রয়োজন ছারা ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি দু কিলোমিটারের বেশি ভ্রমনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ঘরের ভিতরে ও বাহিরে চার জনের বেশী লোক জমায়েতের উপরও গুরত্ব আরোপ করা হয়। সীমিত সংখ্যক পরিবহন থাকবে শুধু স্বাস্থ্য সেবার কাজে, পেট্রোল পাম্পের, গ্রোসারী শপগুলো থেকে শুরু করে জরুরী সেবাদানের কর্মচারীদের জন্য।
যেখানে গত এক মাসে মৃতের সংখ্যা যেখানে ছিল ৯ জন,ও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬০০ জন,সেখানে গত দুদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ আর আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২১২১। এ অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনের ঘোষনায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও আক্রান্ত ও মৃত্যু ভয়ে শংকিত এখানের জনগন। এর মাঝে দু তিনটি বাংলাদেশী পরিবারের মাঝেও করোনা ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়ায় ভীতির সঞ্চার হয়েছে বাংলাদেশীদের মাঝেও। খুব বেশী প্রয়োজন ছারা ঘর থেকে বের না হয়ে পরিবার নিয়ে ঘরেই সময় কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে একাকী অলস সময় কাটাচ্ছেন পরিবার ছারা মানুষগুলো।
ভিডিও কলে দেশে, এখানের বন্ধুদের সাথে কথা বলা ছারা বাকীটা সময় একরকম বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন চার দেয়ালের মাঝে। হতাশা, একাকীত্বের ক্লান্তিবোধে পরিবারের কাছে ছুটে যেতে চাইলেও নিরাপত্তাজনিত কারনে সে পথেও হাটছেনা এ মানুষগুলো। পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পরা এ ভাইরাসটির আক্রমনে পৃথিবীর দৃশ্যপট পুরোটাই পাল্টে এখন চারদিকে শূন্যতা আর বেদনার করুন চিত্র সমাজ ব্যাবস্থার প্রতিটি কোনে।
পৃথিবীর মানুষগুলো পার করছেন মনুষ্য সৃস্টির সবচেয়ে কঠিন সময়। নিস্ঠুর পরিবর্তনের এ সময় দেখে স্তব্ধ পুরো মানবজাতি। এ দূর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরতে কত সময় লাগবে-সেই নুতন এক স্নিগ্ধ সকালের অপেক্ষায় পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *