নাগরিক রিপোর্ট: সারাদেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম। রোববার সকাল থেকে নগরীর ৭টি পয়েন্টে ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে চাল বিক্রি শুরু করা হয়। তবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে চাল কিনতে দেখা গেছে। স্বল্পমূল্যে চাল পেয়ে সাধারন মানুষ খুশী হলেও বিতরন কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুব্ধ তারা। তবে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করার হচ্ছে এবং কোন অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবী খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের।
রোববার সকাল ১০টায় নগরীর কেডিসি, কাউনিয়া বিসিক, রূপাতলী হাউজিং, আমতলার মোড়, বিআইপি গেট এবং জুমির খান সড়কের ৭টি পয়েন্টে ট্রাকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য বিভাগ। প্রতিটি পয়েন্টে সাধারন ক্রেতাদের অনেক ভীড় দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রাকের চারপাশে ক্রেতারা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখেননি।
এদিকে বরিশাল খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক মো. জামাল হোসেন জানান, ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিরারদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও ক্রেতারা শুনছেন না। তবে চাল বিক্রিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কথা অস্বীকার করেন তিনি।
অপরদিকে রোববার জেলা প্রশাসন পরিচালিত দুটি ভ্রাম্যমান আদালত খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি এবং টিসিবি’র পন্য বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করেন। ক্রেতাদের সামজিক দূরত্ব মেনে সু-শৃঙ্খলভাবে লাইনে দাড়িয়ে পন্য কেনার পরামর্শ দেন বলে জানান ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান ও মো. সাইফুল ইসলাম।
খাদ্য বিভাগ ছাড়াও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবি নগরীর ১১টি পয়েন্টে এবং বিভাগের আরও ১১টি পয়েন্টে প্রতিদিন ন্যায্যমূলে চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও মসুর ডাল বিক্রি করছে।
২০২০-০৪-০৫