ব্যাংক লেনদেনের আওতা বৃদ্ধি

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : সাধারণ ছুটির মধ্যে ব্যাংকিং লেনদেনের আওতা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী রোববার থেকে লেনদেনের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি বেশি সংখ্যক শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংকের প্রতিটি শাখা খোলা রাখতে হবে। আর অনলাইন সুবিধা না থাকা ব্যাংকের সারা দেশের সব শাখা খোলা রাখতে বলা হয়েছে। অনলাইন সুবিধা থাকা ব্যাংকেরও মহানগর ও প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হবে।

গতকাল এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। ব্যাংকারদের জন্য ঝুঁকি বিমা, অফিস করলে বিশেষ ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়ার পর ব্যাংকিং লেনদেনের আওতা বাড়ানো সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হলো। নতুন এ নির্দেশনার আলোকে আগামী রোববার থেকে দৈনিক ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচি আধা ঘন্টা বাড়িয়ে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। তবে লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ খোলা রাখার সময়সীমা ২টা পর্যন্ত অপরবির্তিত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী রোববার থেকে শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংকের প্রতিটি শাখা খোলা রাখতে হবে। বন্দর বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় শাখা খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যাবতীয় ঋণ নিয়মাচার পরিপালন করে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। সব শাখা থেকে আগের মতোই গ্রাহকদের প্রয়োজনে নগদ বা চেকের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন, ডিডি বা পে-অর্ডার ইস্যু করা যাবে। খোলা রাখা শাখা থেকে ট্রেজারি চালান গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেম বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতায় অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

বেসরকারি ব্যাংকগুলো লকডাউন এলাকায় সব শাখা বন্ধ রাখছে। আর অনলাইন সেবা নেই এরকম ব্যাংকও অনেকশাখা বন্ধ রাখছে। গতকালের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইন সুবিধা থাকা ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের লেনদেনের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করে দূরত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখবে। আর অনলাইন সুবিধা নেই এরককম ব্যাংকের সব সব খোলা রাখতে হবে। তবে প্রতিটি ব্যাংকের সব জেলা সদর বা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অন্তত একটি শাখা সব কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে। মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা খোলা রাখতে হবে। আর জরুরী বৈদেশিক লেনদেনের জন্য অন্যান্য এলাকায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখতে হবে। এমনকি লকডাউন হওয়া মহানগর, জেলা বা উপজেলা এলাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে জরুরী বিবেচনায় প্রতিটি ব্যাংকের কমপক্ষে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা রাখতে বলা হয়েছে। এসব শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাতায়াত নির্বিঘœ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

শাখার পাশাপাশি এটিএম বুথ ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্তে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ এবং সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা পরিপালন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া গতকালের এ সার্কুলারের মাধ্যমে ইতিপূর্বে জারি করা এ সংক্রান্ত ৫টি সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে। আর গত ১১ এপ্রিলের নির্দেশনার আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। গত শনিবার সরকারি মালিকানার সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডিদের চিঠি দিয়ে লকডাউন এলাকায় শাখা খোলা রাখতে বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *