নাগরিক রিপোর্ট: বরিশালে ঈদ বাজারে মানুষের ভীর বাড়ছে। শারীরিক দূরত্ব না মানা এবং স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা এবং শিশুসহ পরিবারের একাধিক সদস্য ঈদ বাজারে আসায় ১০টি পরিবার এবং ক্রেতা সামাল দিতে না পারায় ৩টি দোকান মালিককে মোট ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সময়ে ৩টি দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়।
শনিবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান, শরীফ মো. হেলালউদ্দিন ও মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে তিনটি ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালিত হয়।
ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, বাজারে ততই বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। বিশেষ করে শাড়ি-কাপড়, তৈরী পোষাক, পাদুকা ও প্রসাধনীর দোকানে ভীড় ঠেলেও সরানো যাচ্ছে না। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর প্রধান ঈদবাজার চকবাজার, কাঠপট্টি, পদ্মাবতি ও বাজার রোড এলাকায় হাজার হাজার ক্রেতার সমাগম ঘটে। দুপুর পর্যন্ত এ ভীড় অব্যাহত থাকে। শনিবারও নগরীর প্রধান প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্রে ক্রেতাদের গাদাগাদি করে, গা ঘেষে, একজন অন্যজনকে ঠেলে পছন্দের পন্য কিনতে দেখা গেছে। আবার অনেকে শিশুদেরও নিয়ে আসছেন কেনাকাটায়। ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় ১০ পরিবার এবং ক্রেতার ঢল সামলাতে না পাড়ায় ৩টি দোকান থেকে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। দোকানে অধিক মানুষ জড়ো করায় ৩টি দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়।
২০২০-০৫-১৬