আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস করার সিদ্ধান্ত

Spread the love

সৈয়দ জুয়েল, আয়ারল্যান্ড থেকে: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গত ১৭ ই মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় সংসদের পররাস্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি কর্নেল (অবঃ) ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে পররাস্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সভায় এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আয়ারল্যান্ডে তথ্য প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাত সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনার। প্রতি বছর এ খাতে ভারত থেকে অনেক দক্ষ কর্মী আসেন,পক্ষান্তরে আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস না থাকায় পিছিয়ে পরছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ভিসা জটিলতায় পরতে হয় হর হামেশাই। সঠিক কাগজ পত্র থাকার পরেও ভারতে আইরিশ দূতাবাস থেকে বৈধ ছারপত্র পেতে বাংলাদেশীরা প্রায়ই বিপাকে পরেন। দূতাবাস স্থাপনে এ জটিলতা কেটে যাবে। দু দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়েও এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন হবে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের। দূতাবাসের কার্যক্রম শুরুর আগে বেশ কিছু কাজ করতে হবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। আইরিশ সরকারের সাথে আলোচনা শেষে জমি ক্রয় থেকে শুরু করে পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ।
অত্যান্ত দক্ষতার সাথে এ কাজগুলি যত দ্রæত করা সম্ভব হবে,দূতাবাসের সুবিধা তত দ্রæতই বাংলাদেশীরা ভোগ করবে। তবে শুরুটা যে হয়েছে, এতেই খুশী এখানের বাংলাদেশীরা। ইউরোপীয়ান আওয়ামিলীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের কাছে বাংলাদেশীদের পক্ষে আয়ারল্যান্ড আওয়ামিলীগ দূতাবাস স্থাপনের আবেদন জমা দেন, তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন আবেদনটি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পৌছে দিয়ে সুপারিশ করবেন। পাশাপাশি পূর্বে আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত প্রফেসর ডাঃ হাবিবে মিল্লাত (এম,পি,)র অক্লান্ত পরিশ্রমে দূতাবাসের কাজ এগিয়েছে বলে ধারনা এখানের বাংলাদেশীদের।
গত দুদিন আগে প্রফেসর ডাঃ হাবিবে মিল্লাত (মুন্না) এম,পি,আয়ারল্যান্ড আওয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে লাইভে এসে দূতাবাস স্থাপনের সুসংবাদটি প্রথম পায় আইরিশ বাংলাদেশীরা। পাসপোর্ট সার্জারীর কাজ এখনো লন্ডন দূতাবাসের মাধ্যমে করতে হয়। প্রতিবছর তিন বার লন্ডন থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে সরকারী ব্যায় বাড়ছে। আবার অনেকেই সময়মত পাসপোর্ট নবায়ন করতেও পারেনা,নতুন পাসপোর্ট তৈরীতেও অনেকে অনীহা প্রকাশ করেন, বিশেষ করে এখানের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেরই বাংলাদেশ পাসপোর্ট নেই। এখানে দূতাবাস হলে তাদের আগ্রহ থাকবে, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। দূতাবাসটি হওয়ার পরে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মাঝে যে নতুন সম্পর্কের সূর্য উদিত হবে,সেই উজ্বল ভোর দেখার অপেক্ষায় আইরিশ বাংলাদেশীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *