সাব্বির এলাহীর সঙ্গীতে হাতেখড়ি সেই ১৯৯৭ সাল থেকে। কাজ করেছেন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের, এলবাম করেছেন উপমাহাদেশের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী প্রয়াত কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমারের সাথে। সদা হাসোজ্জল সাদা মনের এ শিল্পী- করোনায় ঈদ ও সঙ্গীত নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ডেইলি নাগরিকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ জুয়েলের সাথে–
সৈয়দ জুয়েল- কেমন কাটালেন ঈদ?
সাব্বির এলাহীঃ করোনার জন্য পুরোটা সময় ঘরেই কাটিয়েছি। বন্ধুদের বাসার সামনে গিয়ে খাবার দিয়ে এসেছি কোন আড্ডা ছাড়াই।
সৈয়দ জুয়েলঃ সঙ্গীতের শুরুটা নিয়ে যদি কিছু বলেন, আসলে শুরুটা কখন করেছিলেন?
সাব্বির এলাহীঃ ১৯৯৭ সালে এস,এস,সি পরীক্ষায় ভাল ফল করায় আমার মা খুশী হয়ে আমাকে প্রথম গীটার কিনে দেন। আসলে শুরুটা সে সময় থেকেই।
সৈয়দ জুয়েলঃ
সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আছে বেশ। এ কাজটা শুরু করেছিলেন কত বছর হয়?
সাব্বির এলাহীঃ ২০০১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ করেছি।
সৈয়দ জুয়েলঃ ওই সময়টায় কোন কোন শিল্পীর সাথে কাজ করেছিলেন?
সাব্বির এলাহীঃ আফজাল হোসেন, এস,আই টুটুল, মানাম আহমেদ, বাপ্পা মজুমদার, এন্ড্রু কিশোর, গোলাম মোস্তফা, হুমায়ুন আহমেদ সহ আরো বেশ কিছু অভিজ্ঞ অভিনেতার সাথে কাজের সুযোগ হয়েছিলো।
সৈয়দ জুয়েলঃ আপনার একটি এলবাম বের হয়েছিলো উপমহাদেশের সেরা গায়ক কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমারের সাথে, এলবামটার বিষয়ে যদি একটু বলেন-
সাব্বির এলাহীঃ এই এলবামটা করতে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেক, বিশেষ করে একজন গুনী শিল্পীর সাথে গাইতে পারায় আনন্দের পাশাপাশি শিখেছিও অনেক কিছু।
সৈয়দ জুয়েলঃ আয়ারল্যান্ডে কত বছর?
সাব্বিরব এলাহীঃ ২০০৭ এ আমার আয়ারল্যান্ডে আসা। সেই থেকেই এখানের কর্ক শহরেই আছি।
সৈয়দ জুয়েলঃ গান নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
সাব্বির এলাহীঃ আমার নিজের লেখা অনেক গান ও সুর করা আছে,যেগুলো নিয়ে কাজ করছি, এর পাশাপাশি নতুন কিছু গান লিখবো ও সুর করবো।
সৈয়দ জুয়েলঃ সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা কার কাছ থেকে পেয়েছেন? শিল্পী হওয়ার পিছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশী?
সাব্বির এলাহীঃ আমার মা-ই আসলে আমার মূল প্রেরনা। তিনিই আমার প্রথম শ্রোতা,এবং তার প্রশংসাই আমার পথ চলা শুরু হয়েছে।
সৈয়দ জুয়েলঃ আপনার প্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কে?
সাব্বির এলাহীঃ বেশ কয়েকজন শিল্পী আছে,যাদের গান আমি প্রায়ই শুনি। আইয়ুব বাচ্চু,সুবীর নন্দী, এন্ড্রু কিশোর, জেমস। এছাড়াও আরো কিছু শিল্পীর গান শুনি। তবে এরাই মূলতঃ আমাকে প্রভাবিত করে।
সৈয়দ জুয়েলঃ করোনায় করনীয় সম্পর্কে যদি কিছু বলেন-
সাব্বির এলাহীঃ বিশ্ব এক খারাপ সময়ের ভিতর যাচ্ছে। যে ঈদটা গেল-এরকম একাকী ঈদ আর কখনো দেখিনি। খুব শীঘ্র আমরা এই যুদ্ধে জিতে যাব বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে আমাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে চলাফোরা করতে হবে,তাহলেই তাড়াতাড়ি আমাদের এ যুদ্ধে জয়ী হওয়া সহজ হবে।
সৈয়দ জুয়েলঃ ধন্যবাদ ডেইলি নাগরিকের সাথে সময় দেয়ার জন্য।
সাব্বির এলাহীঃ ডেইলি নাগরিককেও ধন্যবাদ যে আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য।