‘যেভাবে লোক ঠকানো হচ্ছে, বেঁচে থেকে লাভ কি?’- ড. জাফরউল্লাহ

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : স্ত্রী-ছেলেসহ করোনাভাইরাস আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি সুস্থ হয়ে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ব। কারণ যেভাবে লোক ঠকানো হচ্ছে। একটা ইনজেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা। আমাকে বলছে আপনার তো টাকা লাগবে না ইনজেকশন নিতে। আমি বলছি, ভালোই তো বাটপারি শুরু করছো। আমাকে বিনা পয়সায় দেবা আর লোকজনের গলা কাটবা। জনগণ প্রতারণার শিকার হবে।’

গতকাল সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘অনেকগুলো কোম্পানি আছে। কয়টার আর নাম বলব। এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানো কার পক্ষে সম্ভব। ডা. জাফরুল্লাহ এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারবে? আমি যদি এত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান করা উচিত, এত টাকা কোথায় পাইলাম। আমি যদি ওই চিকিৎসা গ্রহণ করি, তাহলে আমার নামে দুদকের অনুসন্ধান করা উচিৎ। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত।’

এমন পরিস্থিতিতে কি করা উচিত এমন প্রশ্নের উত্তরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘ওই ওষুধ তো দেখছি সোনার চেয়েও বেশি দাম। সরকার যদি ওষুধের মূল্য স্থির না করে, তাহলে যখন কোনো ওষুধের নাম বলা হবে, তখনই তার দামও বলতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে ওষুধের দাম। না হলে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠবে কেন এত টাকা দাম? এটা না করলে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাবে। বেঁচে থেকে তখন লাভ কি, টাকার অভাবে আমি যদি খাইতেই না পারি, আমার ছেলে-মেয়ে খাবার না পায়। ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে যাই।’

নিজের শারীরিক পরস্থিতি নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘শরীর উন্নতির দিকে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট কিছুটা আছে। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার স্ত্রী ও পুত্রও করোনায় আক্রান্ত। তারা বাসায় আছে, আমি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *