নাগরিক রিপোর্ট: বাংলাদেশের সমাতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশালে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর লকডাউন হওয়া বাড়ির পরিবারের সকল সদস্যদের খাবার সরবরাহ ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য দায়িত্ব নিয়েছে। জেলা বাসদ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, প্রশাসন বাড়ি লকডাউন করার পর ওই পরিবারটি মূলত একঘরে হয়ে যায়। প্রশাসনও তাদের খোঁজ-খবর রাখেন না। পরিবার থেকে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন খাবার সরবরাহ করতে অনীহা জানায়। এমনবস্থায় সংশ্লিস্ট পরিবারগুলো অবর্ণনীয় দূর্ভোগে পড়েন।
শনিবার দুপুরে বাসদ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দলটির মহানগর সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বরিশালে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক ব্যক্তি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের পরিবারসহ আগামীতে যারা করোনাভাইরাস শনাক্ত হবেন, সকলের পরিবারের খাবার ও চিকিৎসা, কাউন্সিলিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব আজ শনিবার থেকে বাসদ বহন করবে। এ কাজে সহযোগীতা করতে যেসব বাড়ি লকডাউন করা হবে তার তালিকা বাসদ নেতৃবৃন্দকে সরবরাহ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানানো হয়েছে।
বাসদ এ দায়িত্ব নিল তার কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, নগরীর বাসিন্দা শ্রমজীবি ৬৫ উর্ধ্ব এক বৃদ্ধ করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলে দুইদিন আগে পুলিশ তার বাসাটি লকডাউন এবং বাড়ির সদস্যদের বাইরে যেতে নিষেধ করে যায়। পরিবারটি দুপুরের খাবার কোথায় পাবে জানতে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করলে এটা তাদের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়ে দেয়। বিকালে বৃদ্ধের শারিরীক অবস্থা আরও অবনতি হলে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হলে এটিও তাদের দায়িত্ব নয় বলে থানা থেকে বলা হয়। খবর পেয়ে বাসদের স্বাস্থ্য কর্মীরা গিয়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বাসদের আহŸায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, লকডাউন হওয়া সবগুলো পরিবার একই দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে বাসদ নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেখান থেকেও জানানো হয় ‘লকডাউন হওয়া পরিবারগুলোর সেবাদানের বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন ব্যবস্থাপনা নীতি সরকার প্রনয়ন করেনি’। তাই তাদের করনীয় কিছু নেই।
বাসদ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, হাসপাতাল ও বেসসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে সমম্বিত উদ্যেগ না নেয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বাসদ করোনা সংকটের শুরু থেকেই সমম্বিত উদ্যেগ নেয়ার দাবী জানিয়ে আসছিল।
২০২০-০৬-০৬