অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যুবতীর গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক যুবতীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তার গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। চাকুরী দেয়ার পাশাপাশি বিয়ের প্রলোভনে অধ্যক্ষ এমন অপকর্ম ঘটিয়েছে বলে ওই যুবতী দাবী করেছেন। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আতœহত্যার হুমকী দিয়ে মঙ্গলবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঘটনার শিকার যুবতী ফাতেমা আক্তার (২১)। তিনি উপজেলার ৭নং কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের আঃ ওহাব আকনের কন্যা।
ফাতেমা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, অধ্যক্ষ মো: সহিদুল ইসলামের সাথে তার গত দেড় বছর আগে পরিচয় হয়। ফাতেমা তখন বাকেরগঞ্জ মাছুয়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী পদে কর্মরত ছিলেন। অধ্যক্ষ সহিদুল তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফাতেমাকে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে ফাতেমার মুঠোফোন নম্বর নেন। মোবাইলে যোগাযোগের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ সহিদুল ফাতেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে তাকে নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন সময় রাত্রীযাপন করেন অধ্যক্ষ। মাস কয়েক পূর্বে ফাতেমা সন্তান সম্ভাবা হন। কিন্তু বিয়ের আগে সন্তান নিবে না এমন কথা বলে ফাতেমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে অধ্যক্ষ সহিদুল। এর পর থেকে ফাতেমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন অধ্যক্ষ। এমনকি তাকে না চেনারও ভান করছেন।
যুবতী ফাতেমা বলেন, বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আইনের আশ্রয় না পেয়ে তিনি গনমাধ্যমের ধারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জানেন বলে তিনি দাবী করেছেন। সুষ্ঠুবিচার না পেলে আত্মহত্যারও হুমকী দিয়েছেন যুবতী ফাতেমা।
এসব অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছেন বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: সহিদুল ইসলাম। তিনি ওই যুবতীকে চিনেন না বলে দাবী করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *