নাগরিক রিপোর্ট: লকডাউন ঘোষনার আগেই বরিশাল নগরীতে সোনালী ব্যাংকের সকল শাখা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে করপোরেট শাখার লেনদেনও। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা। তবে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, নগরীর অধিকাংশ ওয়ার্ড রেড জোন হিসেবে চিহিৃত করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাখাগুলোর কার্যক্রম বুধবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টিকে রেড জোন হিসাবে চিহিৃত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও এখন পর্যন্ত রেড জোনের আওতায় আসা কোন এলাকাকে লগডাউনই ঘোষনা করা হয়নি। খোলা রয়েছে নগরীর সকল অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের মত গুরুত্বপূর্ন ব্যাংকের শাখা অফিসগুলো আকস্মিক বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, করোনা সংকটেও বরিশাল শিক্ষা বোর্ড বিদ্যালয়ের অফিস খোলা রেখে ৯ম শ্রেণীর নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশ দেন। নিবন্ধনের টিটি কাটার সর্বশেষ তারিখ ২০জুন। যেকারনে বৃহস্পতিবার ছিল তীব্র চাপ। টিটি কাটার নির্দেশনা ছিল সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিস থেকে কর্পোরেট অফিস বরাবর। কিন্তু বরিশালে সোনালী ব্যাংকের কোন শাখা অফিস খোলা না থাকায় বিপাকে পড়েন শিক্ষকরা। এছাড়া বয়স্কভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন করতে না পাড়ায় ক্ষুব্ধ দেখা গেছে অনেককেই। যেকারনে বরিশাল সোনালী ব্যাংকের চকবাজার, বিএম কলেজ, চৌমাথা ও সাগরিদ শাখায় সাধারন মানুষকে বুধবার ভীড় করতে দেখা গেছে। আর করপোরেট শাখায় বেশ কড়াকড়ি এবং লেনদেন সীমিত করা হয়।
নগরীর একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, এখানকার কোন এলাকা লকডাউন করা হয়নি। অথচ কাগপত্রে রেড জোনের খবর শুনেই বন্ধ করে দেয়া হল দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এ ব্যাংকের শাখাগুলোর কার্যক্রম। এর ফলে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সাধারন মানুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন।
এব্যপারে সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ডিজিএম বাসুদেব দাস জানান, তারা স্বাস্থ্য বিভাগের চিঠি পেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নির্দেশনা রয়েছে যে রেড জোন এলাকার শাখা ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে। তবে জেলা প্রশাসন যদি মনে করে তবে ১২টা পর্যন্ত সীমিত আকারে লেনদেন হতে পারে। সে রকম কোন নির্দেশনা তারা পাননি এখন পর্যন্ত। নগরীর কোন এলাকা লকডাউন না হলেও ব্যাংক বন্ধ রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। সোনারীসহ সকল ব্যাংক পরিচালিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায়।
২০২০-০৬-১৭