নাগরিক রিপোর্ট: গত মার্চে করোনা সংকটের শুরু থেকেই সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য জীবানুনাশক স্যাভলোন বরিশালের বাজার থেকে উধাও। একইভাবে পাওয়া যাচ্ছেনা নামি-দামী ওষুধ প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুুত করা জীবানুনাশক, হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রী। পরিচিত এ ব্রান্ডগুলোর বোতল ও মোড়ক অবিকল নকল করে বিক্রি করা হচ্ছে জীবনুনাশক ও সুরক্ষা সামগ্রী। প্রস্তুুতকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই এর স্থানে লেখা রয়েছে এজিআই, ওরিয়ন এর বদলে ওরিওনা। হেক্সিসলকে নকল করে লেখা হয়েছে হেক্সিসলি। এছাড়া নকল গ্লোবস, চশমাসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রীও উদ্ধার করা হয় বলে অভিযান সুত্রে জান গেছে।
বরিশাল নগরীর ফুটপাত ও বড় বড় দোকানগুলোতে এসব নকল সামগ্রী করোনা সংকটের শুরু থেকেই বিক্রি হলেও এতদিন প্রশাসন থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সোমবার প্রথমবারের মতো অভিযানে নেমে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন সড়কে (গীর্জ্জামহল্লা) দুই ব্যবসায়ীকে এক বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া ফুটপাতের মোট ৭ ব্যবসায়ীকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এ দন্ডাদেশ দেন।
তিনি জানান, করোনা সংকটকে পুজি করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে দুইজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তারা এসব সামগ্রী ঢাকা থেকে এনে খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ করতেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- পটুয়াখালীর সজল জমাদ্দার ওরফে রাজিব (৩৪) ও ঢাকার মোস্তফা কামাল (৩০। দন্ড ঘোষনার পর তাদের কারাগারে প্রেরন করেছে পুলিশ।
দন্ডপ্রাপ্তরা স্বীকার করেছে. ঢাকার মিডফোর্ড এলাকার জনৈক মো. রাকিবের সহায়তায় লঞ্চে এবং কুরিয়ার সার্ভিসে এসব নকল সুরক্ষা সামগ্রী এনে বরিশালে বাজারজাত করত তারা।
২০২০-০৬-২২