এইচএসসিতে পরীক্ষা কমানো হতে পারে- শিক্ষামন্ত্রী

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেশে মার্চের শেষ দিক থেকে দেওয়া হয় সাধারণ ছুটি। বন্ধ করে দেওয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই মাস থেকে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হলেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাবছে না সরকার। এ জন্য এপ্রিলে এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

করোনা মহামারির কারণে আটকে থাকা এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে এনে কম সময়ে তা শেষ করার কথা ভাবছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অনুকূলে’ আসার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনায় শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। আমি আগেও বলেছি যখনই অনুকূল পরিস্থিতি হবে তার ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিতে পারব। এই ১৫ দিন শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিলেবাস কমিয়ে আনার কথা কেউ কেউ বললেও তা নাকচ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এবারের এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই, কারণ তারা (শিক্ষার্থী) তাদের তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন হতে পারে, যে হ্যাঁ, পাবলিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নেওয়া হবে, আবার এত লাখ লাখ পরিবার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এত প্রশাসনের মানুষ, এত শিক্ষক- সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব? আমরা সেটিকে, আমরা কম সময়ে করতে পারি কি না, কম সংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারি কি না- আমরা সবকিছুই কিন্তু ভাবছি।’

গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। তখন থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে শেষ হবে, তার কোনো আভাস মিলছে না বলে এই পরীক্ষা নিয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *