এ বছরের শেষভাগে আসবে করোনার ভ্যাকসিন : চীন

Spread the love

চলতি বছরের শেষের দিকে চীনের ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

গতকাল বুধবার দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয় বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যদিও এর আগে ভ্যাকসিনটি ২০২১ সালে সহজলভ্য হতে পারে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল সিনোফার্ম।

সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংঝেন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাদ্যম সিসিটিভিকে বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন মানবদেহে শেষ ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি) করোনাভাইরাসের দুটি ভ্যাকসিনের প্রকল্প পরিচালনা করছে। চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় পরীক্ষা চালানোর জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক রোগী মিলছে না; যে কারণে ২০২১ সালের আগে ভ্যাকসিনটি পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব না-ও হতে পারে বলে গত জুনে জানিয়েছিল সিএনবিজি।
তবে তখন থেকে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য দেশের বাইরে বিকল্প জায়গা খুঁজতে থাকে চীন। সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেইজিং।

সিনোফার্মের তৈরি ভ্যাকসিনটি তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রবেশ করেছে; শেষ এই ধাপে ১৫ হাজার মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ করা হবে। চীনের দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। চীনের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অপর কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের আরেকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের পরীক্ষা ব্রাজিলে শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া দেশটির সামরিক বাহিনীর গবেষণা শাখা ও ক্যানসিনো বায়োলজিকসের তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে মাঝ-পর্যায়ের পরীক্ষায় পৌঁছেছে। ভ্যাকসিনটি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দেহে প্রয়োগে নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্যানসিনো। এই ভ্যাকসিনটিও চীনের বাইরে শেষ ধাপের পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়েছে। এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে, প্রাণ গেছে ৬ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। চীন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো লাগামহীন অবস্থায় রয়েছে করোনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *