ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ঝুকি নিয়ে চলছে লঞ্চ

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট: বরিশাল-ঢাকা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। ভরা বর্ষায় ডুবচর আর তীব্র স্রোতে ঘটছে দুর্ঘটনা। লঞ্চ মালিক ও চালকরা জানিয়েছেন, কালিগঞ্জ চ্যানেলে একদিকে যেমন তীব্র রোলিং অপর দিকে ভারতীয় ও চট্টগ্রামের শত শত মালবাহী জাহাজ এ রুটে চলাচল করায় ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে। ইতোমধ্যে দুটি লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে এ রুটে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে শনিবার বরিশাল সফরে আসা নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপিকে ওয়ান ওয়ে ভিত্তিতে মিয়ার চর থেকে লঞ্চ চলাচলের দাবী জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। তবে আসন্ন ঈদের আগে তা সম্ভাব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।


এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ইলিশা কালিগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল করতে ১০ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। ওই চ্যানেলে ডুবচর জাগায় মার্কিং ঠিক নাই। তাছাড়া ভারতসহ চট্টগ্রাম থেকে অসংখ্য মালবাহী জাহাজ চলাচল করে এ রুটে। যে কোন সময় দ্রæতগামী এসব জাহাজের সাথে লঞ্চের সংঘর্ষ বাধতে পারে। গত ২৩ জুলাই তার সুন্দরবন-১০ এর সাথে এমভি মানামীর সংঘর্ষও বাধে। এ অবস্থায় এই ঈদে কালিগঞ্জ চ্যানেল দিয়ে লঞ্চ চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পারাবাত লঞ্চের মাস্টার শামিম আহমেদও বলেন, বর্তমানে কালিগঞ্জ চ্যানেল দিয়ে ঝুকি নিয়ে তাদের লঞ্চ চলাচল করতে হচ্ছে।


এ প্রসঙ্গে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, মিয়ারচর চ্যানেল বন্ধ করে দেয়ায় তাদের ঝুকি নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করে কালিগঞ্জ রুটে চলাচল করতে হচ্ছে। এ রুটে তীব্র ¯্রােত এবং ভারতীয় বড় জাহাজ চলাচল করে। যেকারনে শনিবার বরিশাল সফরে আসা নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপিকে ওয়ান ওয়ে ভিত্তিতে মিয়ার চর থেকে লঞ্চ চলাচলের দাবী জানিয়েছেন। মিয়ার চরে এখনও ৮ ফুট পানি রয়েছে। মন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরিশালের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, মালবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়া এবং চর জাগায় মিয়ারচর চ্যানেল আপাতত বন্ধ রয়েছে। এখন বিকল্প পথে চলতে হচ্ছে লঞ্চগুলোকে। এ বিষয়টি তাদের চাঁদপুর জোন দেখবে বলে জানান তিনি।


বিআইডবিøউটিএর চাঁদপুরের যুগ্ন পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, মিয়ার চর চ্যানেলে পানি নেই। মাত্র কয়েক দিনে চর জেগে চ্যানেল ভরে গেছে। ভাটায় সেখানে ৭/৮ফিট পানি থাকে। ১৮ জুলাই একটি সিমেন্ট বোঝাই জাহাজও ওই চ্যানেলে ডুবে যায়। যেকারনে গত ১৮ জুলাই মিয়ার চর চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ইলিশা কালিগঞ্জ উলানীয়া রুট দিয়ে নৌযানকে চলতে হবে। তিনি বলেন, তিনি বলেন, কালিগঞ্জ চ্যানেল ঝুকিপূর্ন হলেও ওই রুট দিয়েই চলতে হবে।

মিয়ার চর চ্যানেল বন্ধ করার আগে বিআইডবিøটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদিক ঘটনাস্থলে এসে দেখে গেছেন। মিয়ার চর চ্যানেল কবে চালু করা যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আপাতত এ রুটে নৌযান চলাচলের সুযোগই নেই। তিনি বলেন, কালিগঞ্জ রুটে গত ২৩ জুলাই দুটি লঞ্চে সংঘর্ষও ঘটেছে। এই রুটে চট্টগ্রামের শত শত মালবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। যেকারনে ঝুকিপূর্ন হলেও চোখ কান খুলে এ রুটে লঞ্চ চালাতে হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *