নাগরিক রিপোর্ট: নারী নির্যাতন রোধে শুধুমাত্র আইনের ওপর নির্ভর করলে হবেনা। আমাদের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের যে দিকগুলোর অবনতি ঘটেছে সেগুলো চিহিৃত করে অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন পারিবারিক সচেতনতা। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে কি প্রয়োজনে সময় ব্যয় করছে এ দিকগুলো প্রত্যেক পিতা-মাতা যথাযথ তদারকি করতে হবে। তাহলেই আমাদের সন্তানদের বিপদগামী হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না।
শনিবার বরিশালে অনুষ্ঠিত ‘নারী ধর্ষন ও নির্যাতনের বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশে’ বক্তারা এ অভিমত দিয়েছেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নগরীর ৭০টি পয়েন্টে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে অনুষ্ঠিত বরিশাল কোতোয়ালী থানা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবউদ্দিন খান। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএম কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এসএম ইকবাল ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ক্যামেলিয়া খান।
অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে আইনের পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় করতে হবে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুর মতো।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্যামেলিয়া খান বলেন, ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহারের ভাল ও খারাপ দুটি দিকই আছে। ইন্টারনেটে পর্ণগ্রাফি শিশু মনকে নিষিদ্ধ কর্মের দিকে আকৃষ্ট করে। প্রত্যেক বাবা-মাকে খেয়াল রাখা উচিত কি উদ্দেশ্যে তার সন্তান ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটির অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান দেয়া হয়েছে। তবে আইনের অপব্যবহার কিম্বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত না হয়। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতা দুটির একসঙ্গে ব্যবহৃত হলে যেকোন অপরাধ সমাজ থেকে দুর হবে।
পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নারী নির্যাতন ও নিপীরনকারীদের জায়গা এদেশে হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। এর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সমাজের সকলস্তরের মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে।