মাধ্যমিকে অটো পাস, মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বছর মাধ্যমিকে কোনো ক্লাসেই পরীক্ষা নেয়া হবে না। সবাই পরের ক্লাসে অটো প্রমোশন পাবে৷ তবে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখল এবং কতটুকু গ্যাপ থাকল, তা মূল্যায়ন করার জন্য চারটি করে অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হবে। বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়নের বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, টেলিভিশন, উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ এবং জমা দেয়া যাবে। বার্ষিক শিখন মূল্যায়নের জন্য ৩০ দিনব্যাপী একটি সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মাসব্যাপী ৩০ কর্মদিবসে এই নতুন কার্যক্রম সমাপ্ত করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মাধ্যমিকের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা মূল্যায়ন করা হবে। এতে পরবর্তী ক্লাসে ওঠায় কোনো প্রভাব পড়বে না এবং এ নিয়ে তাদের কোনো ধরনের চাপ দেয়া যাবে না।

দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের জন্য প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষার্থীরা জমা দেবে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়গুলো শেষ করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে এ মূল্যায়ন প্রভাব পড়বে না।’

পিইপি, জেএসসি এবং সমমানের সনদ এবং স্কলারশিপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়া হবে। সনদে কী লেখা থাকবে, সেটি পরে জানানো হবে। স্কলারশিপের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এটিও পরে জানিয়ে দেয়া হবে।’

কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাচ্ছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ফি পরিশোধ করতে বলেছে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি, আবারও দেব যাতে কোনো ধরনের পরীক্ষা এই সময়ের মধ্যে নেয়া না হয়। সব শিক্ষার্থী পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। কোনো কারণেই তাদের আটকে রাখা যাবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কয়েকটি গুচ্ছে ভাগ করে সমন্বিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু এখন সার্বিক পরিস্থিতির কারণে সেটি হয়তো পরিবর্তন হতে পারে। এটি নিয়ে উপাচার্যরা বসে আলাপ-আলোচনা করছেন। আশা করছি, শিগগিরই এর একটি সমাধান হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পরীক্ষা এবং সনদ নিয়ে এত বেশি মাতামাতি নেই। আমরাও মনে করি, পরীক্ষা নিয়ে মাতামাতি না করে শিক্ষার্থীরা আনন্দ, হাসি খেলার মধ্য দিয়ে কতটুকু শিখল, সেটিই আমাদের মূল বিবেচ্য বিষয়।’

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত, নির্দিষ্ট সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান আছে, তারাই এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *