নাগরিক রিপোর্ট: ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রীবাহী একাধিক লঞ্চ শনিবার শেষ রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ সহ বিভিন্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা থেকে বরিশালের মুলাদী, শরীয়াতপুর যাতায়েতকারী এমভি স্বর্নদ্বীপ প্লাস এর যাত্রী কে এম শরীয়তুল্লাহ বলেন, তাদের লঞ্চটি রাত সারে দশটায় সদরঘাট থেকে বরিশালের দিকে ছেড়ে আসে। মুন্সিগঞ্জ পার হবার সময় আকাশে কিছুটা বিজলি চমকাতে দেখা গেলেও আকাশ ভরা তারা থাকায় যাত্রীদের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। রাত ৩টার দিকে মেঘনা পেড়িয়ে চরমোনাই সংলগ্ন আড়িয়াল খা নদী অতিক্রমকালে ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি। এসময় যাত্রীরা আতংকে চিৎকার শুরু করে। এক পর্যায়ে লঞ্চটি দ্রত পার্শবর্তী খালে ঢুকে আশ্রয় নেয়। প্রায় আধাঘন্টা তীব্র বাতাস এবং ঢেউ
কেটে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি বলেন, এমভি স্বর্নদ্বীপ প্লাস মূলত হাটুরিয়া হয়ে ডামুড্যা পর্যন্ত যায়। মুলাদীর অধিকাংশ মানুষ এই রুটের লঞ্চেই ঢাকায় যাতায়াত করে। এমভি আওলাদ লঞ্চের যাত্রীরাও এক বিপাকে পড়েন বলে তিনি জানান।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, চাঁদপুর পাড় হয়ে মেঘনা অতিক্রমকালে ঝড়ের কবলে পরেন তারা। এসময় বরিশালের দিকে মানামী, পারাবাত-১১, সুরভী-৮ এ্যাডভাঞ্চার-১ আসছিল। লঞ্চগুলো মেঘনা থেকে উলানিয়া কালিগঞ্জ, মল্লিকপুর খালের অতিক্রমকালে ঝড় বয়ে যায়। তবে বড় লঞ্চ হওয়ায় ঝড়ে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চ ঝড়ের কবলে পড়েছে এমন খবর তার জানা নেই। তাকে কেউ অবহিতও করেনি। তিনি খোজ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।