৫ বার প্রস্তাবের পর বাইডেনের স্ত্রী হন জিল

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : জিল জ্যাকবস। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের স্ত্রী। বর্তমান নাম জিল বাইডেন। তাকে কমপক্ষে ৫ বার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জো বাইডেন। এরপরই তিনি অনেক ভেবেচিন্তে বাইডেনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। ফলে এখন তার নামের আগে যোগ হতে যাচ্ছে ফার্স্টলেডি পদবী। জিল বাইডেন ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তিনি ১৯৯০-এর দশকে একটি কলেজে ইংরেজি পড়াতেন।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণার পর, সেই কলেজের একটি ফাঁকা ক্লাসরুমে ডেমোক্রেটিক পার্টির কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন জিল বাইডেন। তার আশা ছিল অনেকটা চেষ্টা করে যাওয়া জো বাইডেন এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। তাই তিনি স্বামীর সঙ্গে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ফার্স্টলেডি হলে কেমন হবেন, সেই গুণ বিচার করে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন জো বাইডেন। বাইডেন বলেছিলেন, দেশজুড়ে আপনাদের সবার জন্য বলছি, একবার চিন্তা করুনতো আপনার প্রিয় শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে, যিনি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছেন। তেমনই একজন ফার্স্টলেডি হতে পারেন জিল বাইডেন।
১৯৫১ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন জিল জ্যাকবস। ৫ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। উইলো গ্রোভের ফিলাডেলফিয়াতে তিনি বড় হন। জো বাইডেনের সঙ্গে বিয়ের আগে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সাবেক কলেজ ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে।
জো বাইডেন এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৭২ সালে তার প্রথম স্ত্রী এবং এক বছর বয়সী কন্যাকে হারান। তবে বেঁচে যান তার দুই ছেলে বো এবং হান্টার বাইডেন। এর তিন বছর পর তার সঙ্গে বাইডেনের পরিচয় করিয়ে দেন জো বাইডেনের এক ভাই। তখন বাইডেন সিনেটর। আর জিল জ্যাকবস কলেজে চাকরি করেন। এ সময় জো বাইডেনের সঙ্গে তিনি চুটিয়ে প্রেম করতে থাকেন। প্রথম ডেটিং নিয়ে ভৌগ ম্যাগাজিনকে জিল বলেন, আমার চেয়ে ৯ বছরের বড় জো বাইডেন। ফিলাডেলফিয়াতে আমরা একটি ছবি ‘এ ম্যান এন্ড এ ওম্যান’ দেখতে গিয়েছিলাম। জিল বাইডেন বলেন, আমাকে কমপক্ষে ৫ বার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাইডেন। তারপরেই আমি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করি। তার ভাষায়, জো বাইডেনের সন্তানরা আরেকজন মা হারা হোক এটা আমি চাইনি। আমি এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম।
এরপর ১৯৭৭ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে তারা দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর জিল জ্যাকবস হয়ে যান জিল বাইডেন। এরপর ১৯৮১ সালে জন্ম নেয় তাদের কন্যা অ্যাশলে। জিল বাইডেন তার পরিবার সম্পর্কে এবং তারা যে সংগ্রাম করে এতদূর এসেছেন সে সম্পর্কে কথা বলেছেন। ৪৬ বছর বয়সে ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রেন ক্যান্সারে মারা যান বো বাইডেন। জিল বলেন, এ সময় আমার মনে হলো যদি এই মার্কিন জাতিকে জো-এর হাতে তুলে দিই, তাহলে তিনি এখানকার পরিবারগুলোর জন্য কাজ করবেন, যেমনটা করেছেন আমাদের জন্য। আমাদেরকে একত্রিত করেছেন। আমাদেরকে পুরোপুরি দেখাশোনা করেছেন। আমাদের প্রয়োজনের সময় আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সবার জন্য প্রতিশ্রুতি রাখবেন।
জিল বাইডেনের বয়স এখন ৬৯ বছর। তিনি শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কয়েক দশক। তার রয়েছে ব্যাচেলর ডিগ্রি। আছে দুটি মাস্টার্স ডিগ্রি। ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দেলাওয়ার থেকে সম্পন্ন করেছেন ডক্টরেট অব এডুকেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *