ইয়াবা চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন ওসি প্রদীপ

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক: টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা চোরাচালানের কথা জেনে ফেলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে কক্সবাজার আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব আজ এই তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও তৈরির জন্য সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ কক্সবাজারে গেলেও সেখানে গিয়ে মাদক পাচারের তদন্তে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে ওসি প্রদীপের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎকার নিতে টেকনাফ থানাতেও গিয়েছিলেন সিনহা।

র‍্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, মধ্য জুলাইয়ে টেকনাফ থানায় গেলে সিনহাকে হুমকি দেন প্রদীপ। তাকে দ্রুত কক্সবাজার ছাড়তে বলা হয়। ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ায় সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন প্রদীপ।

র‍্যাবের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ব্যবহার করে প্রদীপের ইয়াবা চোরাচালানের তথ্য জেনে গিয়েছিলেন সিনহা। প্রতিদিন কারবার হতো ৫০ লাখ টাকার ইয়াবা।

প্রদীপ টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর। এর পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওই এলাকায় ৬৫ জন রোহিঙ্গার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার তথ্য রয়েছে দ্য ডেইলি স্টারের হাতে।

সংবাদ সম্মেলনে আশিক বিল্লাহ জানান, মাদক কারবারের কথা কেউ ফাঁস করে দিতে পারে এমন আশঙ্কা হলেই প্রদীপ তাকে হত্যা করতেন। সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনের স্বীকারোক্তি এবং সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ ও শাহেদুল সিফাতের কাছে থাকা ডিজিটাল কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছেছে র‍্যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *