হাফিজ-শওকতকে বিএনপির শোকজ

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক: বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছে দলটি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, শোকজ নোটিসের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। মওদুদ আহমেদ উল্টা জানতে চান কে শোকজ নোটিস দিয়েছেন? শোকজ নোটিশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী স্বাক্ষর আছে জানালে তিনি বলেন, এব্যাপরে আমি কিছু বলতে পারবো না, রিজভীকে জিজ্ঞেসা করেন।

দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য হয়ে আপনি কতটুকু জানেন, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে দলের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, মহাসচিব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তারা বলতে পারবেন।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাদের শোকজের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। স্থায়ী কমিটিতেও কোনো আলোচনা হয়নি।

নোটিস থেকে জানা যায়, দলের নাম ব্যবহার করে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শওকত মাহমুদকে নোটিশ দেয়া হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে একাধিক কারণ দেখিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। এই কারণগুলো হলো, ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে দলকে বিভক্ত করে মহাসচিব হওয়া, বিভিন্ন সময়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দায়িত্ব দেওয়া হলে দায়িত্ব পালেন অপরাগতা প্রকাশ করা এবং বিভিন্ন সময়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অসম্মান করে বক্তব্য দেয়া। হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

দুই নেতাকে শোকজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের শোকজের সিদ্ধান্ত দলের।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন। খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের পানি সম্পদমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ‘সংস্কারপন্থি’ অংশের মহাসচিব হয়েছিলেন হাফিজ উদ্দিন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের (বিএনপিপন্থি) সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা শওকত মাহমুদ বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদেরও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *