নাগরিক ডেস্ক: সিলেট, কারো কাছে আধ্যাত্মিক নগরী, কারো কাছে চায়ের দেশ, কেউ বলেন দ্বিতীয় লন্ডন, কারো চোখে প্রকৃতিকন্যা, আবার কারো কাছে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এক সমৃদ্ধ নগরী ।
এমন ভিন্ন ভিন্ন নামে দেশ-বিদেশে সিলেটের সূ- পরিচিতির পেছনে রয়েছে যথেষ্ট যৌক্তিকতা। সেই ইতিহাস লিখতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে এতটুকো বলব সিলেটকে যে নামে ডাকা হউন কেন, আমাদের কাছে সিলেট একটি আবেগ, অনুভূতি ও নিরন্তর ভালোবাসার নাম। হৃদয়ের আস্থার রাজধানীর নাম সিলেট।
জালালাবাদ, শ্রীহট্র নামকরণের হাত ধরে আজকের আধূনিক সিলেট। অনেক উত্থান-পতনের পর ১৭৮২ সালের ৩ জানুয়ারি জন্ম হয় সিলেটের। সিলেটের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠনের নাম হচ্ছে “জালালাবাদ এসোসিয়েশন”। দেশ -বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে সংগঠনের অজস্র শাখা।
অর্থনৈতিক, সামাজিক,সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সূ-দীর্ঘকাল ধরে নামের যথার্থতা সুনামের সাথে অক্ষুণ্ণ রেখে যাচ্ছে জালালাবাদ এসোসিয়েশন । এক সময় এই সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট কূটনীতিবিদ ইনাম আহমেদের মত সিলেটের সূর্য সন্তানরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ,কে,মোমেনের মত ব্যক্তিরা এই সংগঠনের আজীবন সদস্যা।
অতি সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড তথা বিশ্বের সকল প্রান্তে- মহামারি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের আশু রোগমুক্তি কামনায় “জালালাবাদ এসোসিয়েশন আয়ারল্যান্ড” এর উদ্যোগে এক ভার্চূয়াল দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে । উদ্যেগটি ছিল অত্যন্ত মহত,সময়পোযোগি এবং প্রশংসনিয়। ধন্যবাদ জানাচ্ছি উদ্যেগকারীদের।
সিলেট বিভাগের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন হিসেবে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে জালালাবাদ এসোসিয়সনের রয়েছে বিশেষ সুনাম ও মর্যাদা। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে,সংগঠনটির প্রজ্ঞা, মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পন্ন শক্তিশালী সাংগঠনিক নেতৃত্ব ।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে আয়ারল্যান্ডে “জালালাবাদ এসোসিয়েশন ” গঠন উপলক্ষ্যে এ দেশে বসবাসরত সিলেট বিভাগের বিশিষ্ট গুণিজণদের যদি সংগঠনের সাথে অদুর ভবিষ্যতে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে এটি সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং সকলের কাছে সমাদৃত হবে বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি।
ভালোবাসা ও ভালো লাগার প্রাণের সিলেট অম্লান থাকুক লাল সবুজের হৃদয় ঘিরে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্হ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
-এস, এ, রব, সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেটার মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ড।