মদ্যপান ও ধর্ষন : ছাত্রীটির পর তার ছেলে বন্ধুও মারা গেলো

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : মদ্যপান ও ধর্ষণে মৃত্যু ঘটেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব)’র এক ছাত্রী। পরে মারা গেছে ছাত্রীটির বন্ধু আরাফাতও। তিনি ওই ছাত্রীকে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গতকালই তার মৃত্যু হয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। মদ্যপানের কারণের এটি হতে পারে। এছাড়া ওই তরুণীর দেহে ধর্ষণের আলামতও রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চান না তারা।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তরুণীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়া তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সকালে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার আগে এ ঘটনায় এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ই ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৮শে জানুয়ারি ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে তার দুই বন্ধু আরাফাত ও রায়হান উবারের গাড়িতে করে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যায়।
সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলো নেহা এবং আরও এক বন্ধু। ওই রেস্টুরেন্ট মদ পান করে তারা। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে অধিক মাত্রায় মদপান করায়। মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করেন।
পরে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও সেখানে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসীম খানকে ফোন দেয়। পরদিন অসীম এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার ওই তরুণী মারা যান। ওই তরুণীর সঙ্গে অসুস্থ হন তার বন্ধু আরাফাতও। তরুণীর মৃত্যুর পরপর মৃত্যু হয় তারও।

ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা শুনেছি তাদের এক বন্ধু বিমানবন্দর এলাকা থেকে মদ এনেছিলো। পরে উত্তরার ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে তারা তা পান করেছে। তাদের ওই বন্ধুর নাম নাম-পরিচয় খুঁজছে পুলিশ। ওই মদের কারণে বিষক্রিয়া হয়েছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইউল্যাব’র ছাত্রীর মৃত্যু পর ওই দিনই পাঁচ জনকে আসামি করে ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহত তরুণীর পিতা। এরমধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ জানান, এই মামলার দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আরেক আসামি আরাফাত মারা গেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *