নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট:

ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করা এবং ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিয়ের তথ্য গোপন করে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান জানান, তামিমা পূর্বের স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন। আইন অনুযায়ী তারা উভয়ে অপরাধ করেছেন এবং এই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য। তাই আমরা রাকিবের পক্ষে আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করি।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলাটি নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রেখেছেন।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে নাসির গাঁটছড়া বাঁধেন নববধূ তামিমা সুলতানার সাথে। নাসিরের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে সম্পন্ন হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। নাসির-পত্নীর বাড়ি টাঙ্গাইলে।

পাত্রীর সাথে পারিবারিকভাবেই বিয়ে ঠিক করা ছিল নাসিরের। আঁকদের অনুষ্ঠানে শুধু পরিবারের সদস্যরা থাকলেও আনুষ্ঠানিক গায়ে হলুদের মত বিয়েতেও হাজির হয়েছিলেন দুই পক্ষের আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

তবে ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদিনই আলোচনাতে ছিলেন নাসির ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। তামিমা সুলতানা শবনম তাম্মি নামের যে নারীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে তিনি নাকি ১১ বছরের সংসার ফেলে গাঁটছড়া বেঁধেছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের সাথে। এমনকি ডিভোর্সও দেননি পূর্বের স্বামীকে। সে ঘরে রয়েছে তার ৮ বছর বয়সী এক কন্যাও।

তামিমার পূর্বের স্বামীর নাম রাকিব হাসান। তাকে ডিভোর্স না দিয়ে আবারও বিয়ে করায় আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। এই ইস্যু নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডিও করেছিলেন রাকিব। স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে রাকিব বলেন, তার ৮ বছরের একটি মেয়ে আছে। এখনও আমাদের ডিভোর্স হয়নি। কোনো নোটিশ ছাড়া কীভাবে আমার স্ত্রী ৮ বছরের বাচ্চাকে ফেলে অন্য একজনকে বিয়ে করলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।

২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। রাকিবের দাবি, গেল ১১ বছরে তার স্ত্রীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে জব সবক্ষেত্রেই তিনি সাহায্য করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *