নাগরিক রিপোর্ট:
ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে বিমান বাংলদেশ এয়ারলাইন্স’র সেবার মান নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। যাত্রীভাড়া বেশী, সেবার মান কম, রহস্যজনক কারনে বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট- এতসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বিমান বাংলদেশ এয়ারলাইন্স’র বরিশাল অফিসের ব্যবস্থাপক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু। এসময় ভাড়া কমানো সহ নানা অসঙ্গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তা দুর করার দাবী তোলা হয়।
দীর্ঘ একবছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে আগামী ২৬ মার্চ আবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো করেন।
তারা বলেন, বেসরকারি বিমান প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশের কতিপয় কর্মকর্তা যোগসাজস রয়েছে। অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের সেবার মান নিম্মমুখী রেখে যাত্রীদের বেসরকারী বিমানমুখী করছেন বিমান বাংলাদেশের কতিপয় কর্মকর্তারা।
একই কারনে বিমান বাংলাদেশের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করে ৩২০০ টাকা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে যাত্রীভাড়া একবছর আগে ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার অবস্থায় ২৭০০ টাকা করার দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও যাত্রীভাড়া কিছুটা বেশী মনে হচ্ছে। তিনি এ সবগুলো বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরামর্শ দেন।
বিমান বাংলাদেশের বরিশাল কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, যাত্রীভাড়া কমানোর দাবীসহ অব্যবস্থাপনা নিয়ে করা অভিযোগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি করে ফ্লাইট ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে আসা-যাওয়া করবে। এরমধ্যে শুক্র থেকে বুধবার পর্যন্ত সপ্তাহে ৬দিন ঢাকা থেকে বরিশাল সকাল সাড়ে ৮টায় এবং বরিশাল থেকে ঢাকা সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাট চলাচল করবে। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় ও বরিশাল থেকে ৪টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট চলাচল করবে।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির কারনে গতবছর ২১ মার্চ সারাদেশের ন্যায় বরিশাল-ঢাকা রুটেও বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সর্বশেষ বরিশালে এসেছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে গতবছর ১২ জুলাই থেকে নভোএয়ারের একক ফ্লাইট এবং ১৬ জুলাই থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ডবল ফ্লাইট চালু হলেও অজ্ঞাত কারনে বন্ধ থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।