নাগরিক রিপোর্ট:
নিত্যপন্যের বাজারে গিয়ে দিন দিন দিশেহারা হয়ে পড়ছেন বরিশালের সাধারন মানুষ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই সোয়াবিন তেল এবং পিয়াজ ছাড়াও বেশ কয়েকটি পন্যের দাম। এদিকে মুরগীর পর গরুর মাংসেরও দাম বেড়েছে। সবজি নাগালের মধ্যে থাকলেও মাছের বাজারে গিয়ে সস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতা। আসন্ন শবে বরাত এবং রমজানকে টার্গেট করে ব্যবসয়ীরা এসব দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার নগরীর পিয়াজপট্টি খোজ নিয়ে জানা গেল, প্রতি কেজি পেয়াজ বিক্রি চলছে ৩৮ টাকা দরে। এ মাসের শুরুতে যা বিক্রি হয়েছে ২৮-৩০ টাকা দরে। আলু ২-৩ টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়। সেখানকার পিয়াজ বিক্রেতা আবজাল হোসেন জানান, রোজায় এর দাম আরও বাড়তে পারে।
বাজার রোডের মুদি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেল সোয়াবিন তেল (খুচরা) এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। একইভাবে চিনি কেজি প্রতি ৪ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকা, মুসর ডাল ২টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চৌমাথা বাজারে মাংসের দোকানগুলোতে কেজিতে বাড়িয়েছে ৩০ টাকা। বর্তমানে বরিশালে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুরর মাংস। আসন্ন শবে বরাতের প্রভাব বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। একই বাজারে সোনালী মুরগীর কেজি ২৯০ টাকা, ব্রয়লার ১৩০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। মাংস কিনতে আসা নবগ্রাম রোডের ইয়াসিন মিয়া বলেন, হঠাৎ কোন কারনে গরুর মাংসের দাম বাড়বে। এটা কি প্রশাসন জানেন?
পোর্ট রোড মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। রুই কেজি প্রতি ৪০০-৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০-৭৫০ টাকা, আইড় ৫০০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী কই এবং শিং কেজিতে ৬০০ টাকা ছাড়িয়েছে। সেখানকার মৎস্য ব্যবসায়ী ইয়ার উদ্দিন বলেন, অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা চলার কারনে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।