নাগরিক রিপোর্ট:
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদে আবাসিক হোটেল ‘শরিফ’ এর একটি কক্ষ থেকে আল আমিন (২৪) নামে এক যুবকের লাশ শনিবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকেল গলায় স্পট রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল আমিনের স্ত্রী সহ ৬ জনকে বিমানবন্দর থানায় নেয়া হয়েছে। স্বজনরা দাবী করেছেন, এক মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে আল আমিনের বিয়ে হয়। ওই ঘটনার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মৃত আল আমিন রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকায় ট্রান্সমিটার কোম্পানী প্রিন্স করপোরেশনের জুনিয়র অফিসার এবং বরিশালের উজিরপুর উপজেলার করমন্দাশা এলাকার মোস্তফা হাওলাদারের পুত্র।
আল আমিনের বোন লাকি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, এক মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় আল আমিন ও নগরীর হার্ট ফাউন্ডেশন গলির বাসিন্দা কবির হোসেনের মেয়ে, সরকারি বরিশাল কলেজের ছাত্রী ইসরাত জাহান মীম। তবে এ সম্পর্ক ও বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার।
ঢাকা থেকে এসে শুক্রবার এই হোটেলে ওঠে আল আমিন ও তার স্ত্রী। লাকি অভিযোগ করেন, ঢাকা থেকে আল আমিনকে ডেকে এনে এই হোটেলে বসে ওই মেয়ের সহযোগিতায় এলাকার কিছু লোকজন এনে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে আল আমিনকে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করেন তিনি।
আল আমিনের বাবা মোস্তফা হাওলাদার বলেন, পুত্রের স্ত্রী ফোন করে বলছে আল আমিন নথুল্লাবাদে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। কিন্তু এসে দেখেন ছেলে মারা গেছে। তিনি বলেন, তার একটা মাত্র পুত্র। আল আমিন আত্মহত্যা করার লোক না। এই ঘটনাটার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন আল আমিনের পিতা মোস্তফা।
এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানা সুত্রে জানা গেছে ওই ঘটনায় আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মীম, তার এলাকার বাসিন্দা মানিক, সুজন ও সোহেল সহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
এব্যপারে বিমানবন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীফ আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১২৬ নম্বর কক্ষে লাশ বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছেন। তার গলায় একটি দাগ রয়েছে। সে আত্মহত্যা করেছে নাকি এটি হত্যাকান্ড সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।