নাগরিক ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ড সফর শেষ। কদিন পরই বাংলাদেশ দলের নতুন পরীক্ষা শ্রীলঙ্কায়। চান্দিমালদের বিপক্ষে সেই টেস্ট সিরিজে খেলবেন না সাকিব আল হাসান–তা পুরোনো কথাই। তবুও ওই সময়ে দেশের দর্শকদের চোখ থাকবে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের দিকে। সাকিব তখন আইপিএল খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
এবারের আইপিএলে কিছু ‘দেখানো’র আছে সাকিবের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট না খেলে তাঁর আইপিএল খেলতে যাওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়া তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে কদিন বেশ উত্তপ্ত ছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। অবশ্য সাকিব বারবার বলেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সারতেই আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন। বিতর্কসঙ্গী হওয়ায় এবার সাকিবের সেই প্রস্তুতিটা যে আরও ধারাল করার তাড়না থাকবে।
নিষেধাজ্ঞায় পড়ায় গতবার সাকিবের আইপিএল খেলা হয়নি। ২০১৯ মৌসুমে তিনি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে নিয়মিত সুযোগ মেলেনি। একাদশে সুযোগ না পাওয়াটাই ‘শাপেবর’ হয়ে ওঠে সাকিবের। ‘অবসর’ সময়টা ঘুরে বেড়িয়ে কাটাননি বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। উল্টো আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুশীলনের মধ্যেই প্রিয় গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে ডেকে নেন ভারতে। কোচের কাছে আলাদা করে ঝালিয়ে নেন নিজেকে। ‘যৌথ’ প্রচেষ্টার ফল বিশ্বকাপেই পাওয়া গেল–৮ ম্যাচে সাকিব করেন ৬০৬ রান, ১০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা অলরাউন্ডার তিনিই।
সাকিব বারবার বলেছেন নিজের উন্নতির দারুণ এক মঞ্চ আইপিএল। কোথায় তার উন্নতি হলো কিংবা কোথায় ঘাটতি—ভালো ধারণা মেলে এখানে। এসব বিষয় সতীর্থদের সঙ্গে ভাগ করে নিলে দলও সহায়তা পাবে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো আছেই। ১০ জন বিদেশি থেকে মাত্র চারজন খেলতে পারে একটি দলে। এসব তো আছেই। এবার সাকিব জোর দিচ্ছেন ‘যত বেশি পড়ব, তত বেশি শিখব’র প্রতিও। দেশের একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘সামনে যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যত বেশি টি-টোয়েন্টি খেলব, তত বেশি জানতে পারব। এটার কোনো শেষ নেই। এক হাজার টি-টোয়েন্টি খেলার পরও আরও একটি ম্যাচ খেললে আরও বেশি জানব।’
আইপিএলে বরাবরাই ব্রাত্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অন্তত ১৪ মৌসুমে মাত্র ৫ জনের সুযোগ পাওয়ার পরিসংখ্যান তাই বলে। এবারও সাকিবের সঙ্গে আছেন এক মোস্তাফিজুর রহমান। এই দুজনের না হয় আইপিল খেলে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা হবে। কিন্তু বাকিদের প্রস্তুতি কীভাবে হবে, সেটি এখনো বলা কঠিন।