নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন মমতা

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের সম্মানে আজ রোববার রাজ্যজুড়ে কালো দিবস পালন করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তিনি ‘গণহত্যা’ বলেও মন্তব্য করেন।

এদিকে আজই শীতলকুচি যাওয়ার কথা ছিল মমতার। তবে, কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি যেতে পারছেন না। অবশ্য, সকাল থেকেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন তৃণমূল প্রধান।

কনফারেন্সে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। একই সঙ্গে আগামী বুধবার তাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বলেও তিনি জানান।

তৃণমূল প্রধান মমতা বলেন, ‘শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে। কেন পায়ে গুলি করল না। বুক লক্ষ্য করে গুলি করে দিলো! টিয়ার গ্যাস ফায়ার করতে পারত। বাহিনীর আহত হওয়ার ঘটনা কোথায় ঘটেছে! কমিশন যা করছে তা নজিরবিহীন। নৃশংসভাবে মানুষকে মেরেছে বাহিনী। ৭২ ঘণ্টা কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমায় যেতে দেবে না বলেছে। কিন্তু আমি ভিডিও কলেই কথা বলব। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ।’

সংবাদ সম্মেলনে শীতলকুচির মৃত যুবকের ছবি হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শনিবারের ঘটনা উল্লেখ করে মমতা বলেছেন আগামী মঙ্গলবার তিনি উত্তরবঙ্গ যাবেন। মমতা আরও বলেছেন, ‘শীতলকুচি যাব। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব আমি। বিজেপি ও কমিশন সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখন আমি ওদের পাশে থাকতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমাকে ওখানে যেতে দেবে না বলে আইন করেছে। গুলি করে মানুষ খুনের তথ্য লুকোতেই এসব আইন। আমি ১৪ তারিখ যাব। আমরা মৃতদের পরিবারের লোকজনে পাশে থাকব। মৃতদের মধ্যে কারও স্ত্রী গর্ভবতী, কারও আবার তিন বছরের বাচ্চা আছে। ওরা সবাই সাধারণ মানুষ। ভোট দিতে এসেছিল। বাহিনী নির্বিচারে গুলি করল।’

হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে মমতা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অযোগ্য বলে কটাক্ষও করেছেন।

হতাহতদের সহায়তায় দলের পক্ষ থেকে ফান্ড তৈরি করা হবে বলেও সম্মেলনে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে তাতে ১০০ টাকা দেবেন। সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে। ভোট চলাকালীন রাজ্য সাহায্য করতে পারে না। তাই রাজ্যের তরফে কমিশনের কাছে সাহায্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সে বিষয়ে জানানো হবে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের। আমার যেটুকু আছে সব দিয়ে সাহায্য করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *