বাংলাদেশের প্লাংকেট

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক:
কাজটা সবচেয়ে ভালো করেছেন ইংলিশ ফাস্ট বোলার লিয়াম প্লাংকেট। এতটাই ভালো যে এখন অন্য কেউ একইভাবে সফল হলে তুলনা করা হয় প্লাংকেটের সঙ্গেই। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তাসকিন আহমেদও ঠিক সেটিই করে সফল হয়েছেন, যা করতেন ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো প্লাংকেট।

কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে ফেললেও মাঝের ওভারে গতি আর বাউন্সে তাদের পরিকল্পনা কিছুটা হলেও এলোমেলো করে দিয়ে তাসকিনতুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

মাঝের ওভার মানেই স্পিন— ২০১৫ বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটের ধারাটা এমনই ছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শেষ হলে স্পিনই হতো প্রধান অস্ত্র। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুই বলের নিয়ম করার পর থেকে স্পিনের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমে। ইংল্যান্ড তখনই আবিষ্কার করে, বোলিংয়ে এ রকম সময়ের জন্যও গড়ে তোলা যেতে পারে নতুন ধরনের এক অস্ত্র। মাঝের ওভারগুলোয় ব্যাটসম্যানদের ছন্দপতনের দায়িত্ব দেওয়া হলো ফাস্ট বোলার লিয়াম প্লাংকেটকে। তাঁর কাজ ক্রস সিম, বাউন্স আর গতিময় বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করা।

ব্যাটসম্যানরা এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। সাধারণত মাঝের ওভারে ব্যাটিং করা ব্যাটসম্যানরা স্পিনের বিপক্ষে খেলেই বেশি অভ্যস্ত। সেখানে কিনা হুট করেই প্লাংকেট এসে বল ছুড়তে থাকেন ব্যাটসম্যানের মাথা তাক করে! সঙ্গে বল এদিক–সেদিক করা তো আছেই। এই কৌশলেই ইংল্যান্ড প্লাংকেটকে দিয়ে জিততে থাকে মাঝের ওভারের যুদ্ধ। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্লাংকেট ৪২ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট, যার একটি ছিল কেইন উইলিয়ামসনের।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শেষ ওয়ানডেতে ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে তাসকিনও যেন নিলেন সেই ভূমিকাই। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তাসকিনকে নতুন বলে ব্যবহার করে খুব বেশি সাফল্য পাননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে আজ পাওয়ার প্লের পর বোলিংয়ে এসে উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান দানুস্কা গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন তাসকিন।

এরপর ভালো লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে কট বিহাইন্ড করেন পাথুম নিশাঙ্কাকেও। তাসকিনের বলে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি কুশল মেন্ডিসের ইনিংসও। প্রথম ১০ ওভারে ৭৭ রান করে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কার রানের গতি কমে আসে তাসকিনের ‘প্লাংকেট’ হয়ে ওঠাতেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *