বাবা-মা-বোনকে একাই খুন করেছে মেহজাবিন

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে বাবা-মাও বোনকে একাই হত্যা করেছে মেহজাবিন। স্বামীর সঙ্গে বোনের অনৈতিক সম্পর্কের সন্দেহ ও বাবা-মায়ের প্রতি রাগের বহি:প্রকাশ ঘটাতে সে তিনজনকে হত্যা করেছে। বনানীর কদমতলীতে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনায় মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে কদমতলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত মাসুদ রানার ভাই সাখাওয়াত হোসেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামালউদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে আটক নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল অসুস্থ থাকায় তাঁকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মেহজাবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে বলেছে- পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তাঁর। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তাঁর সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তাঁর। এর জেরে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করেন।
পরে মা, বাবা ও বোনের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। তবে স্বামী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে অচেতন করলেও হত্যা করেননি। গতকাল সকাল আটটার দিকে মেহজাবিন জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ৯৯৯-এ এক নারীর ফোন পেয়ে কদমতলীর মুরাদপুরের লাল মিয়া সরকার রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যায় পুলিশ। পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ রানা (৫০), তাঁর স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম (২১)। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে (২৪) গতকালই আটক করে পুলিশ। আর মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল (৩০) ও তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *