অনলাইন ডেস্ক:
২০০১ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়েছিলেন মেসি, সেটা শেষ হয়ে যাবে? অনেকেই অবশ্য সেটি মানতে নারাজ। ঘরের ছেলে ঘরেই থাকবে; ক্লাব কর্মকর্তাদের ইতিবাচক সব মন্তব্যে এই ধারণা জন্মাতে শুরু করেছে।
বিশেষ করে শেষ দিনে এসেও বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা যে দৃঢ়ভাবে মেসির ভবিষ্যৎ প্রশ্নে ‘শান্ত’ থাকতে বললেন, তাতে বার্সেলোনা সমর্থকদের আশা বেড়েছে বৈকি।
তবে, বুধবার মাঝরাতের আগে কোনো ঘোষণা না এলে তো আপাতত আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনা-মেসির সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে।
আর্জেন্টিনার কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল করা মেসির পুরনো ঠিকানায় থেকে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। সেই সঙ্গে অবশ্য এটাও বলা হচ্ছে, চলতি কোপা আমেরিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো বিষয়ে মাথা ঘামাতে চান না রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
জাতীয় দলের হয়ে কিছু জিততে না পারা মেসির এখনকার একমাত্র চাওয়া, যেকোনো মুল্যে জিততে হবে এবারের কোপা আমেরিকা। আকাশী-সবুজ জার্সিতে দারুণ ছন্দেও আছেন তিনি। আসরের তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা। মহাদেশ সেরা প্রতিযোগিতায় গ্রুপ সেরা হয়ে দল উঠেছে কোয়ার্টার-ফাইনালে। আগামী ১১ জুলাই হবে এর ফাইনাল। তাই, ধরে নেওয়া যায় আপাতত বার্সেলোনা-মেসি নিয়ে পাকাপাকি কোনো খবর আসছে না।তাহলে, আসছে ১ জুলাই থেকে কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি ছাড়াই কোপা আমেরিকায় খেলবেন মেসি। এখানে চলে আসছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং বার্সেলোনার জন্য দুর্ভাবনার প্রশ্ন।
এএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়মানুযায়ী কোপা আমেরিকা চলাকালীন যদি মেসি চোট পান তাহলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব বার্সেলোনার থাকবে না। একইভাবে চোটের কারণে তিনি যদি লম্বা সময় বাইরে থাকেন তাহলে পরে বার্সেলোনার সঙ্গে তিনি চুক্তি করলেও তার অনুপস্থিতির সময়ের জন্য ফিফা থেকে কোনোরকম ক্ষতিপূরণ পাবে না ক্লাব।
চলতি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্সের হয়ে খেলার সময় উসমান দেম্বেলে চোট পেয়ে প্রায় চার মাসের জন্য ছিটকে গেছেন। ফিফা প্রোটেকশন প্রোগামের আওতায় এই ফরোয়ার্ডের মাঠের বাইরে থাকাকালীন সময়ের প্রতি দিন বাবদ ২০ হাজার ৫৪৮ ইউরো করে পাবে কাতালান ক্লাবটি, যার সর্বোচ্চ মেয়াদ এক বছর।