নাগরিক রিপোর্ট : বরগুনার পাথরঘাটায় মাটি খুড়ে মা ও মেয়ের মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের উত্তর হাতেমপুর গ্রামের শাহিন মুন্সির খালপাড় থেকে শাহীন মুন্সীর স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাসের শিশু সন্তান সামিরা আক্তার জুই এর মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শাহিন মুন্সী পলাতক রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে- সে স্ত্রী-সন্তান হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শাহিনের পরিবারের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সুমাইয়ার পিতা রিপন হাওলাদার জানান, শাহিন মুন্সী তাদের প্রতিবেশী খলিল মুন্সীর ছেলে। সুমাইয়া-শাহিনের প্রেমের সম্পর্ক করে দেড় বছর আগে তারা বিয়ে করে। তখন বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা হয়েছিল। সেই থেকে তাদের সংসারে দম্পত্য কলহ চলছে। এর মধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। গত বুধবার সুমাইয়া পিতার বাসা থেকে সন্তানসহ শাহিনের বাসায় যায়। পরদিন সকালে ফোনে নাতি ও মেয়ের খবর নিতে গেলে তাদের ফোন বন্ধ পন রিপন হাওলাদার। পরে শাহিনের বাড়ি গেলে শাহিনের মা শাহিনুর বেগম জানান, সুমাইয়া ও তার সন্তানকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তারা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোজ নেয়ার পর বিষয়টি মঙ্গলবার পাথরঘাটা থানায় অবহিত করা হয়।
স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের আগে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে একটি সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ে শাহিন পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে শাহিন ও তার শশুরের পরিবারের মধ্যে।
শনিবর বেলা ১০টার দিকে সুমাইয়ার পরিবারের লোকজন এলাকাবাসির সহযোগিতায় তল্লাসী করে শাহিনের বাড়িতে। এ সময় নতুন মাটির গর্ত খোড়া দেখে ৯৯৯ এ খবর দিলে পুলিশ গিয়ে খালের পাড়ে একটি গর্তের ভিতর মাটি চাপা অবস্থায় মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ আবুল বাসার জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শাহিনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।