নাগরিক ডেস্ক:
২০২০-২১ আর্থিক বছরে (জুলাই-জুন) মিসরের সুয়েজ খালের আয় রেকর্ড ৫৮৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত আর্থিক বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৭২ কোটি ডলার। সম্প্রতি সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ গত মাসে শেষ হওয়া আর্থিক বছরের এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
খাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, মার্চে কনটেইনার জাহাজ আটকে যাওয়ার ঘটনার পরও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে খালের উপার্জন প্রায় ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে গত বছরের প্রথমার্ধে আয় ছিল ২৭৬ কোটি ডলার।
গত মার্চে এভার গিভেন ছয়দিন ধরে খালটিতে আটকে ছিল। আর এতে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ রুটটি। মালিক ও বীমাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার পর সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ এ মাসের শুরুর দিকে জাহাজটিকে মুক্ত করে দেয়। সূত্র জানায়, সমঝোতার পর সম্প্রতি মিসরের একটি আদালতে ক্ষতিপূরণের জন্য কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আয় বাড়ার পাশাপাশি এ সময়ে সুয়েজ খালে জাহাজ পারাপারও বেড়েছে। খাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে এ খাল দিয়ে ৯ হাজার ৭৬৩টি জাহাজ চলাচল করেছে। গত বছরের এ সময়ে জাহাজ পারাপারের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৫৪৬টি।
ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত নৌপথ সুয়েজ খাল। বৈশ্বিক শিপিংয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ এ রুট দিয়ে চলাচল করে। খালটি মিসরের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মার্চে এভার গিভেন আটকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ খালের দক্ষিণতম অংশটি প্রশস্ত ও গভীর করার পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করেছে। এ দক্ষিণতম অংশেই আটকে গিয়েছিল জাহাজটি।