মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বন্ধু সাংবাদিক সাইমন ড্রিং আর নেই

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিধনযজ্ঞের খবর যিনি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সেই অকৃত্রিম বন্ধু ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাইমন ড্রিং নামটি পরম শ্রদ্ধেয়।

শুক্রবার রুমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় তার মৃত্যু হয়। খবর দ্য ইস্টার্ন লিঙ্কের

সাইমন ড্রিং বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি বাহিনী যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়; তার প্রতিবেদনেই বিশ্ববাসী প্রথম জানতে পারে। ১৯৭১ সালে সাইমন দ্য টেলিগ্রাফের যুদ্ধ প্রতিবেদক হিসেবে কম্বোডিয়ায় সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে টেলিগ্রাফের সম্পাদক তাকে লন্ডন থেকে ফোন করে ঢাকায় চলে আসতে বলেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় দুইশ’ বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে তখনকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং হোটেলে লুকিয়ে থাকেন। শ্বাসরুদ্ধকর ৩২ ঘণ্টা সময় কাটে হোটেলের লবি, ছাদ, বার, কিচেনের মত জায়গায়।

পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রত্যক্ষ করেন গণহত্যার বাস্তব চিত্র। তার মাধ্যমেই ডেইলি টেলিগ্রাফে ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম খবর প্রকাশ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *