নাগরিক রিপোর্ট : কোরবানীর পশুরহাট নিয়ে বিরোধের জের ধরে বরিশাল সদর উপজেলার চবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমানকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগমের ভাই রাসেল মুন্সীর নেতৃত্বে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খলিলুর। তিনি ঘটনাটির বিষযে শুক্রবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশালের অন্যতম পশুরহাট কাগাশুরাহাটের ইজারা নিয়ে সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগমের ভাই রাসেল মুন্সী ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানের দ্বন্দ্ব হয়। খলিল অনুসারীরা হাটের ইজারা পেলে ক্ষিপ্ত হন রাসেল ও তার অনুসারীরা। তারা গরুর হাট চলাকালীন সময়ে দুই দফা হাটে হামলা চালান। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে খলিলুর রহমানকে বাড়ি থেকে তুলে আনেন রাসেল মুন্সির অনুসারী সালাম ও মিলন এর নেতৃত্বাধীন একদল সন্ত্রাসী। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাগাশুরা বাজারে রাসেল মুন্সির কাছে। সেখানে রাসেল মুন্সি তাকে বেধড়ক মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেয়।
হামলার শিকার খলিলুর রহমান বলেন, রাসেল মুন্সির ক্যাডার সালাম ও মিলনের নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেল এসে তাকে তুলে রাসেল মুন্সির কাছে কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করে রাসেল। এ ঘটনায় তিনি কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাসেল নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিলেও তিনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত বলে জানান খলিলুর।
তবে অভিযুক্ত রাসেল মুন্সী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হাটের অবিক্রিত একটি জবাই করে বিক্রির সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন ইজারাদার খলিলুর। এনিয়ে গরুর পাইকারদের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে তার (রাসেল) সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেন রাসেল।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সগীর হোসেন জানান, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান তাকে মারধোর ও হুমকির ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সেখানে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছোট ভাই রাসেল মুন্সী, সালাম ও মিলন নামের তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। অভিযোগটি তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
২০২১-০৭-২৪