করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর হলো বরিশাল সদর হাসপাতাল

Spread the love

নাগরিক রিপোর্ট : বরিশালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধির জন্য জেলা সদর (জেনারেল) হাসপাতালকে সাময়িকভাবে সম্পূর্ণরূপে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসাবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার ফলে হাসপাতালটিতে আন্ত বিভাগে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া আপাতত স্থগিত করে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বুধবার জেলা সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হয়। গত ১১ জুলাই থেকে হাসপাতালটিতে ২২ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছিল।

স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ইস্যুকৃত চিঠিটিতে জানানো হয়, কোভিড- ১৯ রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসার স্বার্থে জেলা সদর হাসপাতালটিকে সম্পূর্ণরূপে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হলো৷ তবে এই সেবা কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য চালু থাকবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা.মনোয়ার হোসেন বুধবার রাতে জানান, বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠির আলোকে বর্তমানে হাসপাতালটির অন্যান্য সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যা চালু করে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

বরিশাল জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মলয় বড়াল জানান, সদর হাসপাতালে আর রোগী ভর্তি করা হবেনা।তবে আউটডোর সেবা চলু থাকবে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলা সদর হাসপাতালের আন্ত বিভাগের সব রোগীর চিকিৎসা এখন থেকে শেবাচিম হাসপাতালে দেওয়া হবে।

শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র মতে, বরিশাল বিভাগের করোনা রোগীদের সব চাপ পড়ছে দক্ষিনাঞ্চলের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল শেবাচিম হাসপাতালে। সেখানে ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে প্রতিদিন গড়ে ৩২৫ থেকে ৩৪০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। সেখানে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্হ্য বিভাগ জানিয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নগরীর কালিবাড়ি সড়কের মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নারী করোনা রোগীদের জন্য ২০ শয্যার সংরক্ষিত ইউনিট চালু করা হচ্ছে। এছাড়া নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালকেও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসাবে চালুর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *