‘২৭ দিনে অনেক মানুষ চিনেছি, হাতে লেখা বার্তাটি তাদের জন্য- পরীমনি

Spread the love

নাগরিক ডেস্ক : কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় নায়িকা পরীমণির হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল একটি বার্তা। লেখাটি এমন- ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। নিচেই ছিল একটি প্রতীক, যার অর্থ ‘গোল্লায় যাও’। ডান হাত নেড়ে ওই লেখা ও প্রতীক দেখিয়ে পরীমণি আসলে কী বোঝালেন?
কেন এটা লিখলেন পরীমণি? কার উদ্দেশ্যে লিখলেন- এ নিয়ে গতকাল বুধবার দিনভর ছিল জোর আলোচনা। এ নিয়ে পরীমণি গনমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা আসলে সব বিচের জন্য, যারা ওপরে ওপরে আমাকে ভালোবাসা দেখায়। তারা এখন আবার আমার কাছে আসবে। আমার চারপাশে ঘুরবে। আমাকে ভালোবাসা দেখাবে। মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই এ বার্তা।’
গেল ২৭ দিন অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ নায়িকা। সে কথা শোনাবেন পরে একদিন। তার আগে জানালেন, এই ২৭ দিনে মানুষ চিনেছেন তিনি। চিনেছেন কারা তার কাছের, কারা দূরের।
পরীমণি বলেন, ‘আসলে যারা আমাকে চেনেন, তারা কিছু বললে আমার খারাপ লাগে। আর যারা চেনেন না, তারা বললে কোনো খারাপ লাগে না। কারণ, তারা তো আমাকে চেনেনই না। আমি কোথা থেকে এসেছি, কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছি, এর কিছুই তো জানেন না তারা। জানলে হয়তো আমাকে নিয়ে কটুকথা বলতেন না। খারাপ লাগে, যারা জেনেও পেছনে কথা বলেন। এই ২৭ দিনে কাছের-দূরের সবাইকে চেনা হয়েছে।’
বুধবার জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যেন নতুন এক সিনেমার টিজার দেখালেন পরীমণি। হাত তুলে শুধু ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ বলেই শেষ করেননি; দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে যেন বোঝালেন ‘পরীমণি ভেঙে পড়ার মেয়ে না।’
কারাগার থেকে বাসায় ফেরেন দুপুরে। কেমন অনুভূতি হচ্ছে- জানতে চাইলে পরীমণির সহজ উত্তর, ‘কোনো অনুভূতি নেই। অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছি। আমার যে রেগুলার লাইফ, সেটা তো ছিল না। পুরোপুরি অন্য একটা জীবন ছিল। ওই জীবনের কথা অন্য একদিন বলব। তবে গেল ২৭ দিন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’
কারাগার থেকে বাসায় ফিরে নতুন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি পরীমণি। পেয়েছেন বাসা ছাড়ার নোটিশ। এ প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘বাসা ছাড়ার নোটিশ পেলাম। তিন মাসের মধ্যে ছাড়তে হবে বাসাটি। আর নোটিশ কেনই বা দেবে না বলুন! গত কয়েক মাসে কত কিছুই তো ঘটল। বাসার মালিক এত কিছু সহ্য করেছেন, এটা কম কীসে। আমার বাসা হলে তো আমিই সহ্য করতে পারতাম না। বাসার গেটে ক্যামেরা তাক করা থাকে; এই র‌্যাব, পুলিশ। এ বাসায় তো আমি একা থাকি না। অন্য অনেকেই আছেন। আমার জন্য তাদের সমস্যা হয়। অন্যদের সমস্যায় ফেলা তো ঠিক নয়। সবাই তো আর ক্যামেরায় ইউজ টু না।’
এই ক’দিনে যে ক্রাইসিস গেল, তা উতরে সামনে এগোতে পারবেন- এ প্রশ্নে ‘প্রীতিলতা’ চরিত্রের জন্য মনোনীত পরীমণি বলেন, ‘আমি ভেঙে পড়ার মেয়ে না। ভেঙে পড়লেও উঠে দাঁড়াব। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, আমি কেমন। আমি দ্রুতই কাজে ফেরার অপেক্ষা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *