নাগরিক রিপোর্ট:
৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে বরিশালের প্রথম শহীদ আলাউদ্দিনের নামে পায়রা নদীতে স্থাপিত লেবুখালী সেতুর নামকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডে শহীদ আলাউদ্দীনের স্মৃতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ বরিশালবাসী ব্যানারে ওই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। অবিলম্বে আলাউদ্দিনের নামে লেবুখালী সেতুর নামকরণ না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
সংগঠনের আহ্বায়ক খান আলতাফ হোসেন ভুলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, গণফোরামের জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস মিঠু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আঃ রসিদ নিলু, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা অধ্যাপক দুলাল মজুমদার, বরিশাল মহিলা পরিষদের সম্পাদক পূস্প রানি চক্রবর্তী, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সম্পাদক কাইউম হোসেন জুয়েল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব মণীষা চক্রবর্তী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের মহান ব্যক্তিদের বীরত্বগাঁথা অবদানকে স্মরণ রাখতে তাদের নামে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে বরিশালের প্রথম শহীদ আলাউদ্দিনের নামে লেবুখালীর পায়রা নদীতে স্থপিত সেতুর নামকরণ করতে হবে। এতে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে আলাউদ্দিনের দেশপ্রেম ছড়িয়ে পড়বে। তাই অবিলম্বে আলাউদ্দিনের নামে লেবুখালী সেতুর নামকরণ না হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
সমাবেশ শেষে একটি প্রতিনিধিদল পারয়া নদীর লেবুখালি সেতুর নামকরণ শহীদ আলাউদ্দিনের নামে করার দাবিতে বরিশাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
প্রসঙ্গত, বরিশালে ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ ছিল বরিশাল এ কে স্কুলের ছাত্র পটুয়াখালীর সন্তান আলাউদ্দিন। ৬৯ সালের ২৮ জানুয়ারি বরিশাল শহরে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলে বের হয়ে গুলবাগ হোটেলের মোড়ে ইপি আরের গুলিতে সে মারা যায়। দক্ষিণাঞ্চলের এই বীর সন্তান আলাউদ্দিনের স্মৃতিতে বরিশালে কোন স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়নি এখনও।