নাগরিক ডেস্ক : বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নামের শেষে ‘আক্কিনেনি’ পদবি ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন সামান্থা। পদবিটি তার স্বামী নাগা চৈতন্যর। কিন্তু কিছুদিন আগে সামান্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নাম থেকে ‘আক্কিনেনি’ পদবি মুছে ফেলেছেন। এতেই শুরু হয় গুঞ্জন- সামান্থা আর নাগা চৈতন্যর সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে এই জনপ্রিয় দম্পতি আলাদা থাকছেন বলেও ছড়িয়েছে খবর। এবার শোনা যাচ্ছে, খোরপোশ বাবদ অন্তত ৫০ কোটি রুপি পাবেন এ অভিনেত্রী। যা তাদের বিয়ের খরচের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। ২০১৭ সালে যখন তারা বিয়ে করেছিলেন, সেই আয়োজনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি রুপি। পর্যটন নগরী গোয়ায় জমকালো আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছিল তাদের বিয়ে।
এদিকে কেউ কেউ বলছেন, আগামী ৭ অক্টোবর বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেবেন সামান্থা ও চৈতন্য। ২০১৭ সালের এই দিনেই তারা বিয়ে করেছিলেন। যদিও বিচ্ছেদ ইস্যুতে এখনো পর্যন্ত সরাসরি কিছুই বলেননি তারা।
তবে তাদের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, বিয়ের পর সামান্থার অভিনয় চালিয়ে যাওয়া পছন্দ করছে না নাগা পরিবার। তার ওপর ‘ফ্যামিলি ম্যান টু’ সিরিজে সাহসী ও খোলামেলা রূপে অভিনয় করেছেন সামান্থা। এর ফলে চৈতন্য এবং তার বাবা নাগার্জুনা বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অন্যদিকে সামান্থাও এসব বিরোধ মেনে নিতে পারছিলেন না। সেজন্যই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
দক্ষিণী মেগাস্টার নাগার্জুনার পুত্র নাগা চৈতন্য। ২০০৯ সালে ‘জোশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তিনি সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন। অন্যদিকে সামান্থার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১০ সালের ‘ইয়ে মায়া চেসাভ’ সিনেমা দিয়ে। যেখানে তার নায়ক ছিলেন চৈতন্য। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাদের মধ্যে ভালোলাগা ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। সাত বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা।